গ্রামের সড়ক ছেড়ে মেঠো পথে আমি আসলাম
গন্তব্য যদিও খুব বেশি দুরে নয়
হয়তো বা দুই তিন ক্রোশ হবে
হাট থেকে ঘরে ফেরা মানুষের কাছে জানলাম।
মনে নাই এই গাঁয়ে এসেছি সেই কবে।
এখানে যাচ্ছি আমি একা পথে হেঁটে
দুরে দেখি কোন এক চাষার মেয়ে
ফিরছে যে ঘরে
কয়েক নিমেষ পরে পৃথিবীর রঙগুলো সব
কালো হয়ে যাবে
জোর পায়ে আমি তাই হেটে যাচ্ছি শুধু
মেঠো পথ ধরে।
হঠাৎ দেখছি চেয়ে এই খানে লোকালয় শেষ
সামনে পাথার শুধু মাঝ খানে ক্লান্ত এক পথিকের রেশ।
মাথায় করল ভিড় একি চিন্তা একি শুধু ভয়!
একি ঘোর! একই সন্ধ্যা! নাকি স্বপ্নময়।
দেখলাম মেয়ে এক দাঁড়ায়ে রয়েছে সেই পথে।
" একি মেয়ে! একা একা,! দাড়ায়ে রয়েছো কেন তুমি
কোন দুঃখে অবেলায় এই মধ্য পথে?
তার সে দীঘল চুল অন্ধকারের চেয়ে কালো
শুকনো ঠোটের 'পরে ইলোরার ম্লাণ রুপ কেনো সে মেশালো!
করুন মুখের 'পরে অতীতের ভগ্নপ্রায় সভ্যতার ছায়া
গভীর দুঃখ আর অভিমানে চোখ দুটি তার
প্রাচীণ রুগ্নময় কোন এক নগরের কায়া।
একবিন্দু হাসি নাই মুখ জুড়ে তার
নাই কোন অনুরাগ অনু পরিমান।
কোন দিকে কথা নাই শুধু চুপ চাপ
চারদিকে ঘোর শুধু গভীর সন্তাপ।
এবারে আমার দিকে ফেরালো সে তার দুই চোখ
শিশুর কণ্ঠে যেন বলল সে এক দুই কথা
বলল আমি এই মেয়ে সন্ধ্যার
পৃথিবীর কোন কিছু নই আমি আর।
তোমার প্রতীক্ষায় সন্ধ্যার পথে পথে চেয়ে থাকি আমি
মনে কর প্রিয় আজ কোন এক দিন
ছিলাম তোমার।
৪/১১