বুকের জনমানবহীণ কোন এক ধু ধু প্রান্তরে
দুরবর্তী মরু উদ্যানে আমার নন্দনতত্বের
শুস্ক বীজ বপণ করেছি।
এখানে ছায়াযুক্ত মেঘমালার বড়ই অভাব
সচরাচর বৃষ্টির দেখা মেলে না।
যতটুকু চোখে পরে সব মরীচিকা।
মাঝে মাঝে ঝড়োময় এলোমেলো বাতাস।
ধুলিঝড়।
শিকারী পাখিরা পথ ভূলে ঘুরে বেড়ায় দিগভ্রান্ত হয়ে।
ঘরে ফেরা ক্লান্ত শ্রান্ত বিহঙ্গরা অবাক।
আমার নন্দনশিল্পের শুস্ক বীজ কবে শিশুবৃক্ষে পরিনত হবে?
বৃক্ষশাবকের হাত পা মাথা শাখা প্রশাখা কবে মহীরুহে পরিনত হবে
কবে আমার সেই বৃক্ষ ছায়ামতি হবে?
পরিশ্রান্ত যাযাবর ছুটে আসবে এখানে
এই বৃক্ষের উদ্ভাসিত শিকড়ে বসে বসে
প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেবে তারা।
দিগভ্রান্ত বিহঙ্গরা আমার পরিনমিত বৃক্ষের শাখায় আশ্রয় নেবে।
কৃতজ্ঞতায় সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করবে তৃপ্তির সাথে।
আমার চারুসত্বায় লালিত বিশুস্ক বীজেরা সব
কবে বেড়ে উঠবে?
নাকি তারা মৃত্তিকায় বিসর্জিত হবে?
নাকি তারা বড় হবে কোন দিন।
হয়তো হতেও পারে?
অথবা নয়।


১৮/১১