আমি এই সাহারার ধুধু মরু প্রান্তরে
নির্জীব শিশুবৃক্ষ এক
অপুষ্ট দেহের অপূর্ণ জৈবগাঠনিতায়
শিল্পহীণতার প্রকাশ।
মরুশ্বাসের সুতীব্র দংশনে ক্ষয়িঞ্চু অবকাঠামো।
কঙ্কাল সদৃশ দুচারটি ডালপালা শূণ্যে ছড়িয়ে দেয়ার ব্যর্থ প্রয়াস।
অক্সিজেন স্বল্পতার অনিবার্য পরিনামে
ক্লোরোফিলের দুর্ভিক্ষ।
সবুজাভ পত্র,গুল্মের নিদারুণ আকাল।
খাদ্যহীণতার অনিবার্য পরিনামে
চেহারা হরিত্রাভ নয়
অন্য কোন বর্ণও নয়
পাঁথারের পথে ছিন্নমূল খরের মতন।
আমি আজন্ম চেয়ে আছি মহাশূণ্যের মুখের পানে
একটুখানি বৃষ্টির প্রত্যাশায়।
ওখানে নেই কোন মেঘের আয়োজন
কিঞ্চিৎ সাজসজ্বা।
কেবলই দুর্দান্ত প্রহসণ।
দূরপ্রান্তের মরিচিকার মায়াবী হাতছাণি।
একটুখানি শীতলবৃষ্টির প্রত্যাশায়
শতাব্দীকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকা।
হয়তো কোনদিন
মাথার উপরে  মেঘলা আকাশের ছাউনি দেখা দেবে
আমাকে ভিজিয়ে দেবে
কোন এক দৈবিক মহাকালান্তরে।
বৃষ্টির প্রতিটি অনুকণা
অনুপ্রবেশ করবে দেহের শুকনো কোষগুলোতে আমার।
৪৯/১৪