(১)


প্রভূ হে আমায় বাঁজাও, বাঁজাও এমন সূরে
যেমন সূরে প্লাবণ বহে চোখের দু'কুল জুড়ে।
পাখিরা সব যেমন সূরের করুণ ধারায়
এক নিমেষেই ব্যকুল সুরে চমকে তাকায়।
যেমন সুরে অবুঝ শিশু ঘুমায় জগত জুড়ে
প্রভূ হে আমায় বাঁজাও, বাঁজাও এমন সূরে
যেমন সূরে প্লাবণ বহে চোখের দু'কুল জুড়ে।


উদাস পথিক যেমন সুরে আকাশ পানে চায়
গ্রহ-তারা যেমন সুরে থমকে দাঁড়ায়।
যেমন সুরে দিনের শেষে সন্ধ্যা নামে
যেমন সুরে অশ্রু নামে বিদায় গানে
তেমন সুরে পূর্ণ করো আমার হৃদয়পুরে।
প্রভূ হে আমায় বাঁজাও, বাঁজাও এমন সুরে
যেমন সুরে প্লাবণ বহে চোখের দু'কুল জুড়ে।


                     (২)
তুমি আমার জীবনে মরনে
কেমনে তোমায় ভুলে যাবো।
তুমি আছো শয়ণে স্বপনে
তুমি আছো জীবনে মরনে
তুমি আছো নিঃশ্বাসে আর
বিশ্বাসে আছো প্রতি ক্ষণে।
তুমি শুধু আমারই ভূবনে
আর কেহ নাই আমারই এ মনে
তোমার মাঝে আমি শুধু
এক হয়ে আজি মিশে রবো।
কণ্ঠে শুধুই তোমারই গান
এ গান হবে না কখনও ম্লাণ
আমার আকাশে তুমি আছো
আর কেহ নাই স্মরনে
তুমি আমার জীবনে মরনে।
                          (৩)
আমায় ফেলে দিও না অকুল সাগরে
আমায় ছুঁড়ে ফেলো না অসীম আঁধারে।
আমায় যদি ছুঁড়ে ফেলো কোথায় পাবো কুল
আমায় যদি তুলে না নাও সব যে হবে ভূল।
আমায় ছূঁড়ে ফেলো না অথৈ সাগরে।
আমায় যদি দুঃখ দেবে সীমানা যার নাই
পথে পথে ফিরব বলে পথ ভোলালে তাই।
সকল পথের পথিক হবো তাই দিলে না ঘর
তোমায় যাতে ভূলতে না পাই তাই করেছো পর।
আমায় ভূলে যেও না ভূলের পাহাড়ে।
আমায় ফেলে দিও না অসীম অাঁধারে।
                      (৪)
আসো রে মানুষ যাওরে শুনিয়া
ছিন্নভিন্ন হবেরে দুনিয়া,
কয়টা দিন আর যাওরে গুণিয়া।
কিসের নেশায় মরন ভূলিয়া
ভিষণ ওজন মাথায় তুলিয়া
নিজেরই বিপদ আনলে টানিয়া।
আসোরে মানুষ যাওরে শুনিয়া।
অর্থ, সম্পদ, বাড়ি, গাড়ি
শমন এসে নিবেরে কাড়ি।
স্ত্রী, পুত্র, কণ্যা, স্বজন
কে যে তোমার কে যে আপণ।
খোদারে তোমার নাওরে চিনিয়া
আসোরে মানুষ যাওরে শুনিয়া।
              (সঙ্গিতে রূপায়িত)
                   শরীফ আহমাদ।