মা তুমি বলো না কিছু দুই পায়ে পরি
পড়া লেখা আমি আর কিছু শিখব না।
বিদ্যাটা যাই আছে মাথার ভিতর
খাতার পাতায় আর আমি লিখব না।
আমি যে সামান্য এক মেয়ে অবলা
রাস্তায় বলো আমি চলি কেমনে
ও পাড়ার ছেলেগুলা সংখ্যায় পাঁচ,ছয়
আমার মুখের পানে দ্যাখে এ্যামনে।
ভয়ে যে আমার বুক কেন যেন ধুকধুক করে
আমি শিখি পড়া লেখা ওরা কেন মোর পিছে মরে।
ওরা কেন মোর পিছে লেগে থাকে মিছে মিছে
ওদের কি মাও বোন কোন কিছু নেই?
পড়ালেখা শিখি আমি মন দিয়ে যদি
ওরা কেন জ্বলে তাতে কেন ওরা বাঁকা চোখে তাঁকায়
মিছেই।
সেদিন যাচ্ছি আমি স্কুলে যখন একা
রাস্তার ঐ মোড়ে পাকুড় গাছের তলে
দেখি এক বখা ছোঁড়া ফুল হাতে দাঁড়িয়ে আছে
ফুলটা বাড়িয়ে দিয়ে "লাভ ইউ" আমায় বলে।
পিছনে তাকিয়ে দেখি আরো আছে পাঁচ ছয় বখা
দেখছে এসব আর হাসছে খালি
লজ্জায়, ভয়ে, রাগে মাথাটা যে ঘুরছে ভিষণ
ওরা কেন মজা পায় দেয় হাত তালি।
শেষমেশ মাটিকেই বললাম ওহে মাটি, "দয়া করে কিছু ফাঁক হও,
এই সব স্বাপদের হাত থেকে আমাকে এখুনি বাঁচাও"।
মাটির হলো না দয়া শেষ মেশ দৌড়ে পালাই
তোমার আঁচলে রাখো, মাথায় হাতটি রাখো
ওখানেই এ জীবনে সান্তনা পাই।
কোথ্থেকে ওরা এলো, এ সমাজে ঠাঁই পেলো
জঙ্গলে ওরা কেন ঠাঁই পেলো না
ওদের লোমশ হাতে কত ফুল ঝরে পথে
চীরতরে গেলো যারা ফিরে এলো না।



          ৭/১৯