বন্ধু আমার ছিল গোটা তিনচার
একদিন বলে ওরা যেতে হবে তিস্তার পাড়।
অনেক দিনের ছিল সাধ
এইবার দেখা হবে নিশ্চয়ই তিস্তার বাধ।
আজ এই ছুটির দিনে
বন্ধুরা এসে বলে সুযোগ বুঝে
চলো আজ যেতে হবে তিস্তার বাধে
তিস্তা নদীরে আজ লইব চিনে।
মোটর বাইকে চড়ে আজ এই তিস্তা এলাম
দূর থেকে তিস্তারে দিলাম সেলাম।
বন্ধুরা বলে আজ শর্ত যে শুধু একটা
তিস্তারে নিয়ে আজ লিখতে হবেই কবিতা।
দেখলাম তিস্তার এপার ওপার শুধু জল
বর্ষার জলধারা ডেকে যায় শুধু কলকল।
এপাড়েতে সারি সারি নৌকাগুলো
ঘাটে বাধা আছে।
ওপারের চরগুলো ডাকে যেন আমায় কাছে।
এপার আর ওপারের লোকগুলো বাধা আছে তিস্তার বাধে
কতশত লোকজন এই খানে আসে আর উল্লাসে মাতে।
দুপুরের রোদে আমি বসলাম গাছের তলায়
দু'চার চরণ যদি লেখা যায় ছলায় কলায়।
আমি শুধু বসে থাকি আনমনে নির্বাক হয়ে
কালের এ নদী শুধু যায় বয়ে বয়ে।
এপার ওপার দেখি জেলে ভাই ধরিতেছে মাছ
হাত নেড়ে ডাকিতেছে ওপারের সারি সারি গাছ।
দুর থেকে দেখা যায় নদীর মধ্যখানে চর জাগিয়াছে
চরের লোকেরা যেন ফসলের উৎসবে আজ মাতিয়াছে।
এইসব দেখতেই সময়ের দেবতারা দিলই ফাঁকি
কবিতা হলোনা কিছু পুরোটাই রইল বাকি।
বন্ধুর কাছে গিয়ে করজোড়ে করি নিবেদন
এবারের মতো মোরে মাফ করো বন্ধুরা
আর দিনে হয়তোবা লিখে দিব তোমাদের তরে
কয়েক চরণ।


২৯/৮/।।।।।১৫/৮/১৭ সন্ধ্যা।