জননীর স্নেহনিঃসৃত আতুর কাননে
ষোলকলার পূর্ণ চন্দ্রের রূপে
জন্ম নিল এক মানবশিশুপূষ্প।
তার পূর্ণচন্দ্রের মায়াবী রূপ সুধা
ছড়িয়ে দেয় পিতা, মাতার হৃদয় অঙ্গণে।
আনন্দধারা বয়ে যায় পরিবারে
সমাজের আপজনের চোখে
অন্তর চক্ষু জুড়িয়ে যায় শুভাকাঙ্খি মানুষের হৃদয়ে।
ফুলের অলৌকিক সুবাসে
সমাজের সৌষ্ঠব বেড়ে যায়
পরিবেশ পায় পূর্ণতা।
পূণ্যতার সুরভি ছড়িয়ে যায় দিকে দিকে
পরিপূর্ণ লাবণ্যতায় পথিক চেয়ে থাকে
ভক্তকূলের হৃদয় হয়তোবা কখনো
আবেগতাড়িত হয়, হৃদয় বিগলিত হয়।
তারপর
সময়ের নিষ্ঠুর সত্যপ্রবাহে
ফুল শুকিয়ে যায়
পাপড়িগুলো ঝড়ে যায়
জীবন জগতের মহাকাল বৃক্ষের বোঁটা থেকে
ফুল খসে পরে যায় চীরন্তন নিয়মে।
মাটির মমতায় মিলে মিশে হয়ে যায় একাকার।
আমি দূর থেকে তাকিয়ে দেখি
একটি দীর্ঘশ্বাসের করুণ শব্দ বাতাসে মিলিয়ে যায়।
মনের অজান্তে মুখ থেকে
অস্ফুট কিছু কথা বেড়িয়ে যায়
এই সমাজ সংসারে কেন ফুটেছিলে বন্ধু
জীবনে অনেক সুরভি দিয়েছো।
তোমার সুরভিতে সমাজ আলোকিত হয়েছে
সংসার পূর্ণতা পেয়েছে।
তোমার শুকনো পাপড়ির খসে পরার অব্যক্ত বেদনার মুহূর্তে আমরা বিচলিত।
যদিও জানি, এই জগতের অমোঘ নিয়মের ব্যত্যয় হবে না কিছুতেই।
আজ এই শুকিয়ে যাওয়ার প্রস্থান কালে
হৃদয়ের গভির থেকে
তোমার জন্য রইল আশির্বাদ।
এপারে এবং ওপারে
ভালো থেকো বন্ধু
তুমি ভাল থেকো।
৫১/২৭