আমি আবার দেখেছিলাম তারে
আলুর গন্ধে ভরা বাতাসের চৈত্রের কোনো এক  বিকেলে
কাঠবিড়ালী লেজের মতো তালেশ্বরের বাঁকা পথের ধারে
ধলেশ্বরীর সাদা জলের মতো শুভ্র বদন;নীল শাড়ি পড়ে
সে দাঁড়িয়েছিল কাঠ গাছের ছায়ায়--পশ্চিমে র ধারে।
চেয়ে দেখি চারদিক থেকে ভেসে আসছে অনবরত ঠাণ্ডা বাতাস।
কিছু ছোট ছেলে মেয়ে কোদাল দিয়ে আলু টুকায়;হাকিম শেখে র পুকুরে কিলবিল করে যেন ভালবাসার মাছ।।
এক ঝাঁক কবুতর মাটি ঠুক্‌রায় সরষে ক্ষেতে;আলু গাছ মরে গেছে--নিষ্প্রাণ।
আমার সত্তার বাগান সেদিন জেগে ওঠেছিল;ফুল ফুটে ছিল সেথায় পেয়ে তার কালো চুলের ঘ্রাণ।
বাগান-ঝাউবন করে আছে চুপ;সাদা বক উড়ে ফিরে আসে নীড়ে।
দূর থেকে ভেসে আসে কৃষকের হাঁকডাক;সন্ধ্যা উঁকিঝুঁকি মারে ধুতরা র তলে।।
কড়ইয়ের ডালে বসে আছে এক শালিক;ভেসে যায় কচুরিপানা খালের স্রোতে।
ঘুমন্ত চাঁদ জেগে ওঠে আবার;কালো আধার ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে।
নদীর স্রোত থেমে যায় আজ;শেষ হয় জীবনের এক অধ্যায়।
হয়তোবা আবার আমি দেখব তারে-তার শুভ্র বদন-চৈত্রের কোনো এক কালো সন্ধায়।।