শাকিল হাওলাদার -এর কবিতাwww.bangla-kobita.com ওয়েবসাইটে শাকিল হাওলাদার -এর প্রকাশিত কবিতাসমূহ।uuid:7d185313-565e-4d50-be79-02a6df9502c9;id=4122024-03-29T11:50:09Zhttps://www.bangla-kobita.com/181515/somoyer-jhor/সময়ের ঝড়2019-10-24T08:27:06-04:002023-06-24T13:50:02-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>সময়ের পরিবর্তনের ঝড়___<br />কেন নিয়ে যায় না আমায়__ওই দূর মাঠের পর?<br />যেথায় চারদিক থাকবে পাট আর হলদে ধানক্ষেত__<br /> যেথায় মানুষের মাঝে লুকিয়ে থাকা ভূত__প্রেত<br />জেগে উঠে না শ্মশান থেকে;<br />যেথায় শালিকের নীড়<br />খোঁচা দিয়ে ফেলে দেয় না তারা পৃথিবীর মাটিতে!<br />যেথায় এক মুঠো ধান__<br />এক গ্লাস পানির জন্য<br />করতে হয় না তাদের হাহাকার!<br />যেথায় সজীব ধুন্দল__কড়লার <br />বুকে শুনা যায় না___পোকাদের চিৎকার!(সংক্ষিপ্ত)</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/otit-chibay/"অতীত চিবায়"2019-10-19T06:59:41-04:002023-06-24T13:50:02-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>মনে পড়ে তাল গাছ!<br />কত বাবুইপাখি করে সেথায় বসবাস!<br />সন্ধ্যার আকাশে এ কেমন সন্ধ্যার নিঃশ্বাস!<br />খাল পাড় থেকে বয়ে আসে হিমেল ঠাণ্ডা বাতাস!</p>
<br /><p>এ কেমন সন্ধ্যার সাজ!<br />নতুন সাজে সেজেছে কালো সন্ধ্যা আজ!</p>
<br /><p>নানী বাড়ির সেই বাগান!<br />কত ঘুঘু পাখির সুমধুর গান<br />শুনতাম সেথায়__সময়ের স্রোতের টান<br />ভাসিয়ে নিয়ে গেছে সেই বাগান ভেঙে জীবনের বান!</p>
<br /><p>সময় কেন এত নিষ্ঠুর?<br />বর্তমান কে রেখে অতীত কে ছুড়ে দেয় স্মৃতির পুর!</p>
<br /><p>মনে পড়ে মায়াবী সেই সুর!<br />ভোর সকালের স্নিগ্ধ কুয়াশার পুকুর!<br />কাঁধে কোদাল নিয়ে আলু টুকায় কত কিশোর!<br />পশ্চিমের খালের স্রোতে গোসল করতাম হয়ে উপুড়!<br /> <br />হায় পড়ে আছে আজ কোথায় সেই স্মৃতি?<br />এটাই সময়ের নিয়ম__ সময়ের বড় জটিল নীতি!</p>
<br /><p>মনে পড়ে খাল পাড়!<br />কৃষকরা নৌকায় যেত ভিটার ধার!<br />জীবনের সব দেনাপাওনা--জীবনের ধার<br />মেটাবার তাড়ায় কত রাত্রি শংকায় করত পার!</p>
<br /><p>হায় আজ অতীত চিবায়__<br />ইঁদুরের মতো এই মন_ বসে স্মৃতির গাছের গোঁড়ায়!</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/kalo-pathor/"কালো পাথর"2019-10-18T10:00:51-04:002023-06-24T13:49:59-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আমার এই প্রাণে আর শুনি না তোমার শ্বাস!<br />আমি তো পাথর হয়ে গিয়েছি--<br />যার ভিতরে পৌঁছায় না পৃথিবীর বাতাস!<br />কতদিন কাঁধে লাঙল নিয়ে চলে<br />গেছি মাঠে--ক্ষেতে--ভোর সকালে!<br />এই নিস্তব্ধ বিকেলে <br />এখনো মনে পড়ে সেইদিন। <br />আমার রাস্তা রুখে যেদিন<br />তুমি দাঁড়িয়েছিলে--------<br />বলেছিলে,"লাঙল দেওয়ার কী ই বা প্রয়োজন"<br />হাসি মুখে সেদিন তোমার কথা মেনে কি নেয় নি <br />আমার এই মন? <br />তারপর কেটে গেছে কত যুগ--<br />কেটে গেছে কত বেলা!<br />নদীর উপর শক্ত ভেলা <br />ভাসিয়ে চলে গেছি দুজন<br />নীলাভ সাগর ছাড়িয়ে বহুদূর--আমাজন!<br />কতবার কড়ইয়ের পাতা গেল ঝরে!<br />কত বার এই পৃথিবীর পথ ধরে<br />শীত আসল--বসন্তের রাত গেল কেটে<br />কোকিলের ডাকে।<br />কতবার চাঁদের আলো কড়ইয়ের পাতার ফাঁকে<br />মুখ লুকায়ে চেয়েছিল আমার সেই ক্ষেতে!<br />যেথায় লাঙল নিয়ে শস্য ফলাব বলে<br />রওনা দিয়েছিলাম সেদিন!<br />তারপর চৈত্রের কোনো একদিন <br />গিয়ে দেখি সেথায়--উত্তপ্ত রৌদ্রের সর্বনাশী তাপে<br />ফেটে গেছে আমার সাধের ক্ষেত!<br />কবরের কাছে শিয়ালের মতো ডেকে উঠে কোন প্রেত!<br />আমার নষ্ট ক্ষেত হয়ে আছে বিরান--<br />চারদিক শুধু নিস্তব্ধতা--নিস্তব্ধতার বাগান! </p>
<br /><p>তুমিও গেলে চলে<br />আমার সাধের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেল বলে<br />আঁধারের হাত ধরে আঁধারের মাঝে!<br />তবে করেছি কি ভুল তোমায় ভালবেসে?</p>
<br /><p>তুমি আজ পঁচা বাঁশ।<br />যে বাঁশে লাগে না সন্ধ্যার বাতাস।<br />যে বাঁশে পড়ে না কোনো কচি শিশুর হাত<br />কত বছর ধরে--এই নিঃশব্দ রাত---<br />করুন স্মৃতি--পোকাদের মতো চিবিয়ে খায় আমার মস্তিষ্ক বারবার।<br />আমি পাথর--আমি কালো পাথর হয়ে যাই আবার!<br />যে পাথরের প্রাণে লাগে না তোমার গরম নিঃশ্বাস!<br />যে পাথরের ভিতরে পৌঁছায় না পৃথিবীর আলো বাতাস!</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/koroiyer-patar-deshe/"" কড়ইয়ের পাতার দেশে""2019-10-17T07:41:32-04:002023-06-24T13:50:01-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>একদিন ভোর সকালের স্নিগ্ধ রৌদ্রের আকাশে<br />শীতের সকালের শাদা কুয়াশার মতো ভেসে ভেসে<br />চলে যাব ধান--মাঠ--ক্ষেত--পুকুর পিছনে ফেলে<br />কত মরুভূমি--নীল নদ পেরিয়ে--সব বাধা ঠেলে<br />বহুদিন পর বাড়ি যাবার মতো চোখে---------মুখে <br />আনন্দের তীব্র ঝর্ণাধারার শাদা পানি গায়ে মেখে<br />জীবনের সব অবসাদ ঝেড়ে ফেলে-অতিথির বেশে<br />চলে যাব আমি-সবুজ কচি কড়ইয়ের পাতার দেশে!<br />যেথায় তীব্র বাতাসে কড়ইয়ের কচি পাতা ঝরে<br />পড়ে না পৃথিবীর মাটিতে-----------হাতে হাত ধরে<br />একসাথে মিলেমিশে তারা সেথায় করে বসবাস;<br />যেথায় শুনা যায় না কালো রাত্রির আহত নিঃশ্বাস!<br />কড়ইয়ের কচি কচি সজীব সবুজ পাতার মাঝে<br />আমি থাকব মুখ লুকায়ে--ঠাণ্ডা বাতাসে ভেসে<br />সেই মায়াবী দেশের পর সন্ধ্যা আসবে নতুন সাঝে;<br />শিশিরের নরম শাদা জল আমার ঠাণ্ডা গা ঘেঁষে<br />পড়বে কড়ইয়ের পাতায়--আমি বিশাল কড়ই গাছে<br />কড়ইয়ের সজীব পাতাগুলোর সাথে থাকব শুয়ে;<br />হালকা ঝড়ের বাতাসে কড়ইয়ের ডাল যাবে নুয়ে।<br />আমি কড়ইয়ের কচি পাতাগুলো গায়ে জড়িয়ে<br />কড়ইয়ের ডালের পাখির নীড়ের পাশে থাকব ঘুমায়ে<br />পাখির মায়ের মতো কড়ইয়ের পাতাগুলো ভালবেসে<br />আমি একদিন চলে যাব কড়ইয়ের পাতার দেশে!<br />যখন কালো অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ে সন্ধ্যার আকাশে<br />কড়ইয়ের পাতাগুলো দোল খায় দক্ষিণা বাতাসে।<br />আমিও কচি কড়ইয়ের পাতার মতো দোল ---খাব,<br />কড়ইয়ের কালো বাকলের সজীব ডালে ঝুলে ঝুলে!<br />রৌদ্রের আলোয় রান্না করে কড়ইয়ের সাথে ভাত খাব;<br />মাঝে মাঝে পানি ছিটিয়ে দিব কড়ইয়ের শুষ্ক মূলে।<br />হয়তোবা কোনো এক শিশু হাতে ঢিল নিয়ে বসে<br />থাকবে কড়ইয়ের ছায়ায়---কখন যে উঠে ভেসে<br />পুকুরের উপর শোল মাছ! এই বিস্তীর্ণ পথের শেষে<br />যতদূর চোখ যায়--শুধু কড়ই গাছ থাকবে অবশেষে!<br /> হয়তোবা কোনো এক নারী ছেড়া শাড়ি পড়ে-ক্লান্ত মুখে<br />এই কড়ইয়ের ছায়ার নিচে বসে থাকবে কিছু ক্ষন।<br />তার সব আশা--ব্যথা বুকের কোনে সযত্নে রেখে<br />কাঁদবে আমার আর কড়ইয়ের পাতা গুলোর মন।</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/oada/"" ওয়াদা""2019-10-14T06:22:47-04:002023-06-27T09:54:36-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আলুর গন্ধে ভরা উত্তপ্ত দুপুরের রৌদ্রের তিমিরে<br />হাত রেখে পরস্পরার হাতে<br />কড়ইয়ের ছায়ায় করেছিলাম সেই ওয়াদা।<br />জীবনের সব খাতা<br />লিখব একসাথে;পড়ব জীবনের দুর্গম বই।<br />কালের স্রোতে হলদেটে নাড়ার মতো তারা<br />ভেসে গেল কই!<br />কত ঝড়ঝাপটা সই!<br />তবুও তো জেগে রই!<br />হায় তারা হারিয়ে গেল কই!</p>
<br /><p>আজও যখন বহুদিন পর বাড়ির পথে যেতে যেতে<br />দেখা হয় তাদের দু-একজনের সাথে,<br />শুনি--কেও বা চলে গেছে বিদেশে---<br />কেও বা আছে মস্ত বড় ঢাকা তে!<br />হায় সময়ের বিশাল স্রোতে<br />হাবুডুবু খেতে খেতে<br />আমরা চলে গেছি--বহুদূর!<br />সন্ধ্যার বাতাসে ভেসে আসে শুধু অতীতের সুর!</p>
<br /><p>আজও আমি মধ্যরাত্রে জেগে উঠি;<br />বসে থাকি কড়ইয়ের তলে।<br />ফিক করে হেসে ফেলি---<br />অতীতের স্মৃতিময় শিশুসুলভ ঘটনার ফলে!</p>
<br /><p>আজও যখন একা একা বসে থাকি নিরিবিলি বিকেলে--<br />মনে পড়ে সেই স্বার্থ হীন ওয়াদার কথা!<br />সময় যে বড় নিষ্ঠুর;<br />সবাই সময়ের কৃতদাস--- অনুগত পেয়াদা!</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/kathal-gachtir-niche/কাঁঠাল গাছটির নিচে2019-09-20T06:23:43-04:002023-06-24T13:50:01-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>বিষন্ন মরা তপ্ত দুপুরে<br />চারপাশ জনমানবহীন যেন নিঝুমপুরী!<br />অপেক্ষা করছি আমি বাস স্টেশনে<br />ফিরিয়ে আনতে তাকে <br />অচেনা বিষাদময় পর পার থেকে!</p>
<br /><p>মরা কান্নায় রত ভেঙে যাওয়া যাত্রী ছাউনি র<br />পচা টেবিলে,<br /> অধীর আগ্রহে বসে আছি আমি<br />মহাকালের বাসের জন্য---নির্জীব হয়ে শুকনো<br />পাতার মতো।<br />পাখির ঝাকের মতো এক পাল রাজ্যের চিন্তা <br />দোলা দেয় বুকের বিশাল নীলাভ সাগরের মাঝে<br />বয়ে চলা রুগ্ন জাহাজের পুরোনো মাস্তুলে!</p>
<br /><p>ভোরের আলোর উষ্ণতার মতো তার <br />আশ্চর্যজনক সজীব চোখের চাহনিতে<br />ভ্রাতৃপ্রতিম ভালবাসায় ব্যাকুল--অবুঝ মন<br />আজ শান্তি খুঁজে।<br />শান্তি খুঁজে--<br />খসে পড়ে যাওয়া ইটের দেওয়ালে,বিপন্ন রাস্তায়,<br />শুকনো খেজুর গাছে<br /> কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডে---যেখানে প্রতিদিন যাই ভাত খেতে।<br />কিন্তু কোথাও একরত্তি শান্তি খুঁজে পাই নি আমি।<br />যেন এ মনের বিক্ষিপ্ত রাজ্যে<br />অশান্তির নরখাদক <br />গলা টিপে হত্যা করেছে শান্তির দূতকে!</p>
<br /><p>দূর্গন্ধময় আধা শহরের ফুটপাত ধরে <br />ভেসে আসা প্রাইভেট কারের বিদঘুটে হর্নের শব্দে<br />হেটে চলি আমি আজ দিকভ্রান্ত হয়ে।<br />যেন আমি অক্লান্ত পথিক <br />হাটার জন্যই এসেছি এ পৃথিবীতে!</p>
<br /><p>তারপর মনে পড়ে<br />সেই দোচালা ঘর;<br />সেই অভিশপ্ত পুকুর;<br />না ভোলা সেই দৃশ্য;<br />বাঁচার ব্যার্থ প্রয়াস!<br />মনে পড়ে--<br />মায়ের অস্ফুট চিৎকার!<br />ব্যাথাতুর মনের ক্লান্তিকর চাহনি।<br />মনে পড়ে--<br />খড়কুটো রাখা বিশাল উঠোনে র এক কোনে<br />পড়ে আছে তার নিথর দেহ <br />শুকিয়ে যাওয়া নিস্তেজ কাঁঠাল গাছটির নিচে!</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/hotel-boy/"হোটেল বয়"2019-09-18T05:57:27-04:002023-06-24T13:49:59-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>হাতে ভাতের থালা নিয়ে দৌড়াচ্ছে সে -হোটেল বয়।<br />আমরা যখনই ভাত খেতে যাই-হোটেলে;<br />আমাদের সার্ভ করে সে--নির্লিপ্ত মনে ফ্যাকাসে হাসি রেখে।<br />মনে হয় যেন-তার উদাসীন মন পড়ে আছে অতীতের আস্তাকুঁড়ে!</p>
<br /><p>রঙ চটে গেছে তার শার্ট-প্যান্টও ছিঁড়ে গেছে।<br />তবুও সে তো গান গায়!<br />গান গায়-অতীতের-আনন্দের-বেদনার।</p>
<br /><p>আমাদের সাথে খুব সখ্যতা তার।<br />সেদিন সে বলেছিল আমাদের-মনের মাঝে <br />লুকিয়ে থাকা কিছু বেদনা কর অতীত।<br />যে অতীত হার মানাবে জ্বলন্ত আগুন কেও!<br />হয়তোবা আগুন তার নিজ কান্নার জলে নিভে যাবে-মিলিয়ে যাবে অন্তরালে হাওয়ার মতন।</p>
<br /><p>তার বাবা-মা মারা গেছে -ছোটবেলায়।<br />হোটেলে হোটেলে কাজ করে <br />দু মুঠো ভাতের ব্যবস্থা করতে হতো তাকে।<br />কেও তাকে দেখে নি-কেও খবর রাখে নি;<br />যেন সে এ সমাজের বোঝা-পচে যাওয়া মুমূর্ষু <br />কীট!!</p>
<br /><p>কোথায় ছিল সেদিন মানবতা-মানবতার জয়গান কারীরা?<br />কোথায় ছিল সেদিন সমাজ-সমাজের নীতিনির্ধারকেরা? </p>
<br /><p>না---কেও ছিল না সেদিন পাশে।<br />এ ভণ্ড সমাজ সেদিন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল--ঘৃনার চোখে।<br />আমি আজকাল ঘুমালে-<br />পঁচা গন্ধে ছেয়ে যাওয়া নোংরা ডাস্টবিন(সমাজ) স্বপ্নে দেখি;যেখান<br />থেকে ভেসে আসে অনবরত কুকুরের চিৎকার-শিয়ালের হর্ষে র ধ্বনি!!</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/se/"সে"2019-09-16T10:52:29-04:002023-06-24T13:50:02-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আমার অবাক লাগে;<br />আমার খুব অবাক লাগে মাঝে মাঝে তারে <br />দেখে।।<br />কত আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন-<br />কত অযৌক্তিক কথা<br />আমি যে শুনি ধ্যানমগ্ন জ্ঞানী র মতো তার<br />মুখ নিঃসৃত শব্দ থেকে।</p>
<br /><p>কত মজা করি ;<br />কত বেহুদা কথা বলি আমি তারে --ঠাট্টা র ছলে!<br />সময়ের ধূলি ঝড়ে বর্তমান চলে যাবে অতীতের দেশে;স্মৃতিগুলো রয়ে যাবে চিরকাল ধরে।।</p>
<br /><p>তার অবুঝ কর্মকাণ্ড দেখলে-<br />মাঝে মাঝে আমি তারে বলি--<br />তুই কেনো এতো কমনসেন্সবিহীন;<br />কেনো এতো বোকা??<br />হেমন্তের সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে আমি ভাবি--হয়তোবা<br />এই জন্যই আমার মতো জীবনের ট্রেনে ওঠা <br />টিকেট বিহীন এক গন্তব্যহীন যাত্রী র সাথে তার এতো সখ্যতা।।</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/he-deshmata/হে দেশমাতা2019-09-14T19:33:36-04:002023-06-24T13:49:59-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আজ আমরা আহত,ক্ষতবিক্ষত, <br />গোলামীর জিঞ্জিরে বাধা <br />রক্তার্ত ক্রীতদাস!!<br />সময়ের বিবর্তনে আমরা হেঁটেছি <br />বহুদূর, <br />পাড় করে এসেছি <br />স্বাধীনতার প্রায় পঁয়তাল্লিশ টি বছর।</p>
<br /><p>আমরা দেখেছি,<br />অনেক দুর্ভিক্ষ,হত্যা,রাহাজানি, গুম ,খুন।<br />আমরা দেখেছি,<br />রঙ চটে যাওয়া নীল শাড়ি পড়ে<br /> এক মধ্যবয়সী জননী করুন দৃষ্টিতে <br />তাকিয়ে আছে ধুলোবালি তে ভরা <br />পথটি র দিকে।<br />আমরা <br />তার অন্তঃকরণ পোক্ত দেওয়াল <br />ভেদ করে হিয়ার কালো <br />পাথরে ঘষে ঘষে পরীক্ষা করেছি।<br />সেখানে আমরা <br />প্রতীক্ষার অশ্রু ব্যাতিত কিছুই খুজে পাই নি।</p>
<br /><p>আমরা দেখেছি, <br />এক বৃদ্ধ বাবা আম গাছের ডাল ধরে<br /> নীরবে অশ্রু ফোটা ফেলে শুষ্ক মাটিতে।<br />আমরা সেই অশ্রু ফোটার কাতর রব<br /> স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি।</p>
<br /><p>আমরা দেখেছি, <br />নীলাদ্রির কান্না-নিয়মের চিৎকার।<br />যখন কতগুলো পিচাশ ঘিরে ধরেছিল <br />তাদের!!<br />আমরা জাহানারা বেগমের অস্ফুট যন্ত্রনা<br /> শিরায়-উপশিরায় অনুভব করেছি!!</p>
<br /><p>আমরা ইয়াজুজ মাজুজ দেখি নি,<br />তবে মানুষ রূপী ইয়াজুজ-মাজুজ দেখেছি এই বাংলায়।<br />গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এ দেশে<br /> আমরা কখনো সমতা দেখি নি।<br />বরং বৈষম্যের কালো ছোবল দেখেছি <br />সর্বত্র জায়গায়।</p>
<br /><p>আমরা দেখেছি, <br />কিছু মুষ্টিমেয় জন গোষ্ঠী দুর্নীতি করে <br />কোটি টাকা কামিয়ে মেতে আছে তারা<br />কালো টাকা কে সাদা করার ধান্দায়। <br />আর অন্যদিকে-<br />ফুটপাতে র ধারে ছেঁড়া কাঁথা গায়ে দিয়ে <br />না খেয়ে পড়ে আছে <br />কত কাঙাল!<br /> কত অসহায়!!</p>
<br /><p>আমরা দেখেছি, <br />গরীবের বুকে লাথি মেরে তারা <br />কীভাবে বড় বড় বুলি আওড়ায়?<br />প্রেসের সামনে এসে কীভাবে তারা <br />সত্যকে মিথ্যা বানায়??</p>
<br /><p>আজ <br />আমরা শান্তিতে বালিশে মাথা রেখে ঘুমুতে<br /> পারি না।<br />যখন আমাদের এ ক্লান্ত চোখে <br />শ্রাবণের কালো সন্ধ্যার মতো<br />একটু ঘুম আসে,<br />এ বুকের মাঝ থেকে তীক্ষ্ণ স্বরে <br />ভেসে আসা<br />বুলেটের শব্দে কিংবা ক্ষুধার্ত <br />শিশুদের কল্লোলে <br />বীভিষিকাময় রাত্রির মতো লাফিয়ে উঠি <br />বিছানা থেকে!!</p>
<br /><p>স্বাধীনতার কত বছর পেরিয়ে গেল!</p>
<br /><p>কেটে গেল কত যুগ!!<br />তবুও স্বাধীনতার সবুজ টিয়েটি <br /> আমাদের এক রত্তি শান্তি দিতে পারে নি।<br />- ঘর দিতে পারে নি।<br />-খাদ্য দিতে পারে নি।<br />-বস্ত্র দিতে পারে নি।</p>
<br /><p>তাই আমরা ফুটপাতে শুয়ে দিন কাটাই।<br />ক্ষুধার জ্বালায় আমাদের পেট টন টন করলেও <br />আমরা কাওকে বলতে পারি না যে,<br />"আমরা ক্ষুধার্ত "</p>
<br /><p>কাদের বলব??<br />এই সভ্য সমাজের বিশাল অট্টালিকায়<br /> বসবাস করা সভ্য মানুষ দের??</p>
<br /><p>হে দেশমাতা,<br />তুমিই বলে দাও-<br />আমরা কাদের বলব?<br />কাদের কোলে মাথা গুঁজে আমরা<br />তোমার বীর দের গল্প শুনব??</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/asha/"আশা"2019-09-09T10:19:09-04:002023-06-24T13:49:58-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আমি আবার দেখেছিলাম তারে<br />আলুর গন্ধে ভরা বাতাসের চৈত্রের কোনো এক বিকেলে<br />কাঠবিড়ালী লেজের মতো তালেশ্বরের বাঁকা পথের ধারে<br />ধলেশ্বরীর সাদা জলের মতো শুভ্র বদন;নীল শাড়ি পড়ে<br />সে দাঁড়িয়েছিল কাঠ গাছের ছায়ায়--পশ্চিমে র ধারে।<br />চেয়ে দেখি চারদিক থেকে ভেসে আসছে অনবরত ঠাণ্ডা বাতাস।<br />কিছু ছোট ছেলে মেয়ে কোদাল দিয়ে আলু টুকায়;হাকিম শেখে র পুকুরে কিলবিল করে যেন ভালবাসার মাছ।।<br />এক ঝাঁক কবুতর মাটি ঠুক্রায় সরষে ক্ষেতে;আলু গাছ মরে গেছে--নিষ্প্রাণ।<br />আমার সত্তার বাগান সেদিন জেগে ওঠেছিল;ফুল ফুটে ছিল সেথায় পেয়ে তার কালো চুলের ঘ্রাণ।<br />বাগান-ঝাউবন করে আছে চুপ;সাদা বক উড়ে ফিরে আসে নীড়ে।<br />দূর থেকে ভেসে আসে কৃষকের হাঁকডাক;সন্ধ্যা উঁকিঝুঁকি মারে ধুতরা র তলে।।<br />কড়ইয়ের ডালে বসে আছে এক শালিক;ভেসে যায় কচুরিপানা খালের স্রোতে।<br />ঘুমন্ত চাঁদ জেগে ওঠে আবার;কালো আধার ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে।<br />নদীর স্রোত থেমে যায় আজ;শেষ হয় জীবনের এক অধ্যায়।<br />হয়তোবা আবার আমি দেখব তারে-তার শুভ্র বদন-চৈত্রের কোনো এক কালো সন্ধায়।।</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/pach-bochor-age/পাঁচ বছর আগে2019-09-07T11:19:11-04:002023-06-24T13:50:02-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আজ থেকে পাঁচ বছর আগে <br />কোনো একদিন আমাদের বাড়ির পিছনে<br />দেখেছিলাম আমি তারে<br />ধলেশ্বরীর কালো স্নিগ্ধ পানির মতো ভেজা সন্ধ্যার বাতাসে<br />চুল উড়ায়ে<br />রূপসী হরিণীর মতো ক্লান্ত চোখে-এদিক ওদিক চেয়ে<br />খালের পাড়ের শেখ বাড়ির দিকে<br /> হেটে যাচ্ছিল সে।।<br />মাঝ রাত্রে-কালো অন্ধকারে<br />গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন কড়ইয়ের পাতার মতো তার ক্লান্ত চোখে<br />আর সন্ধ্যার আকাশে সন্ধ্যা তারার শুভ্র আলোর মতো তার বদন দেখে,<br />আমার মনের মাঠে সেইদিন<br />শান্তির এক পাল সাদা বক উড়েছিল-সেইদিন<br />আমি ঘুমিয়েছিলাম -ঠাণ্ডা বাতাসে<br />বহুদিন পর-শান্তির নীড়ে।।</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/digonter-nilimay/দিগন্তের নীলিমায়2019-09-06T11:51:06-04:002023-06-25T06:21:47-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>তুমি-আমি দুজনে হেটে চলি বহুদূর-দিগন্তের <br />নীলিমায়।<br />সাদা কুয়াশার মতো শুভ্র বক ওই আকাশেতে <br />ভেসে বেড়ায়।<br />নদীর ঘাট থেকে বাঁশির সুরের মতো হাঁকডাক<br />আসে ভেসে।<br /> জাহাজের মাস্তুলে হেলান দিয়ে আমি বসে আছি<br />তোমার পাশে।<br />সাদা চিল উড়ে যায়-শ্রাবণের সন্ধ্যায়।<br />হালকা বৃষ্টিতে তোমার নীলাভ বদন <br />ভিজে যায়<br />ভিজে যায়।<br />যেন সবুজ দূর্বা ঘাসে সাদা ঠাণ্ডা শিশির<br />লেগে যায় <br />অনবরত লেগে যায়।।</p>
<br /><p>নদীর কল কল ধ্বনি ভেসে আসে কানে।<br />সন্ধ্যার ঠাণ্ডা বাতাস ছড়িয়ে পড়ে মাঠে-<br />ঘাটে, ক্ষেতে।<br />মাঝে মাঝে কিছু দাড়কিনি মাছ উঁকি মারে<br />জলে।<br />আমি চেয়ে থাকি তোমার মুখের দিকে-<br />অপলক দৃষ্টিতে।<br />আকাশে নক্ষত্র জাগে;চাঁদের আলো ছড়িয়ে পড়ে<br />এ ধরায়।<br />হয়তো বা বহু -বহুদূরে-তেতুলের তলে<br />কোনো এক শিশু মায়ের হাত ধরে <br />গন্তব্যের পথে পা বাড়ায়।।<br />গাছের সজীব পাতা যায় ঘুমিয়ে ;নিভু নিভু করে<br />জ্বলে হ্যারিকেনের বাতি দূরের নৌকায়।<br />সোনালি ধান গাছের মতো তোমার কালো চুল<br />উড়ে<br /> ঠাণ্ডা হাওয়ায়।</p>
<br /><p>কালো নিঃশ্বাসে ভরা এই মাঝ রাত্রে,<br />শালিকের মতো ঘুমায় সবাই।<br />শুধু জেগে রই তুমি আর আমি-মুখোমুখি<br />চিরকাল---চিরকাল<br />সবুজ পাতার উপর লেগে থাকা সাদা স্নিগ্ধ <br />শিশিরের মতো তোমার হাতটি ধরে <br />যেতে হবে যে দিগন্তের নীলিমায়।</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/ghuri/ঘুড়ি2019-09-05T15:01:40-04:002023-06-24T13:49:59-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আমার এ বিষন্ন মনে<br />অবসন্নতার কালো এক ঘুড়ি সর্বদা উড়াউড়ি <br />করে।<br />ধানের ডগার উপর শিশির বিন্দুর মতো জমে<br /> থাকা সাদা অশ্রুফোটা সেই ঘুড়িটি থেকে <br />অবিরাম ঝরে পড়ে।।<br />যেনো সে তো ঘুড়ি নয়;চোখের জলের বিশাল<br />পুকুর!!<br />আমি জীবনের পথে অনেক হেটেছি;দেখেছি <br />হিংস্রভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে <br />আমার নিজেরই সত্তার কুকুর।।<br />মাঝে মাঝে আমি বসে থাকি শেখ বাড়ির খাল পাড়ে।<br />যখন কড়ইয়ের পাতা সব ঘুমায়ে যায়।<br />যখন ওই কালো আকাশেতে অক্লান্ত পথিকের <br />মতো নক্ষত্রগুলো ভেসে বেড়ায়।।<br />উটের ঘাড়ের মতো এই চেনাজানা পথটির দিকে<br />তাকালে মনে পড়ে সেই স্মৃতি!<br />আহা!এই রাস্তার পাশে বসেই একদিন ঘুড়ি<br />উড়াতাম;ডান্ডাঘুটি খেলতাম দিয়ে লাঠি।।</p>
<br /><p>ক্লান্ত কৃষক সব ফিরে আসে নীড়ে;রেখে যায় <br />হাহাকার সবুজ ঘাসে।<br />এক গ্রাম্য জননী আছে পথের দিকে চেয়ে;তার <br />হতাশার নিঃশ্বাস আসে শীতল বাতাসে ভেসে।<br />এক ঝাক মৌমাছির মতো তেড়ে আসা কালো<br />সন্ধ্যায় আমি বসে থাকি শিশিরভেজা সবুজ আলুক্ষেতে।<br />দূর থেকে ভেসে আসা শুকনো নাড়ার শব্দে <br />এ মনের বিষন্নতার দেওয়াল নড়বড় করে ওঠে।।<br />আমি কতবার চেষ্টা করেছি সেই ঘুড়িকে নামাতে<br /> ভেজা মাটিতে সবুজ পাতার নাটাইল দিয়ে।<br />নামে নি বরং পুটি মাছের ঝোলের মতো তার <br />কান্নার জল ছড়িয়ে পড়েছে এ মনের ধানক্ষেতে।।</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/nilav-bodon/ নীলাভ বদন2019-09-04T13:20:15-04:002023-06-24T13:50:01-04:00শাকিল হাওলাদার https://www.bangla-kobita.com/181515/<p>আজকাল প্রায়ই হেটে বেড়াই একা একা নিরিবিলি সন্ধ্যায় ধানক্ষেতের ধারে।<br />যখন ভরা বর্ষায় নৌকায় চড়ে জমিনের পালান থেকে চলে যাই অনেক দূরে,<br />পচা ডুমুরের মতো কিছু ক্ষতবিক্ষত অতীত ভেসে ওঠে এ মনের কোনে।</p>
<br /><p>আমি দেখতে পাই সেই নীলাভ বদন!!<br />আহা! সজীব পাতার মতো সেই নীলাভ বদনটি আমগাছের ডালে।<br />মনে হয় কে যেন ভাতের হাড়িতে চটি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ফুটানো ভাতের মতো আমার কিছু দুঃখের স্মৃতি ভাসিয়ে তুলে।।</p>
<br /><p>কড়ইয়ের পাতার মতো আজকাল জেগে ওঠি মাঝরাত্রে,<br />যখন অগনিত নক্ষত্র জ্বল জ্বল করে ওই কালো আকাশেতে;<br />শিশিরভেজা ফিকে জ্যোৎস্নার ঝাপসা আলো ছড়িয়ে পড়ে মাঠে-ঘাটে,ধানক্ষেতে<br />কিংবা এক ঝাক শোল মাছ ভেসে ওঠে পাটের অম্ল গন্ধ ভরা জলে।<br />আমি চাদের দিকে চেয়ে<br />খেয়াল করি,<br />তার বুকেও মিশে আছে<br />কত কালো খাদ!<br />আমি বহুবার হ্নিদয়ের দরজা খুলে দেখেছি সেখানে<br />শুকনো পাতার মতো অবহেলায় পড়ে আছে কত অপূরনীয় সাধ!!<br />মাঝে মাঝে শুয়ে আমগাছের তলে <br />শুনতে পাই দূর থেকে ভেসে আসা প্যাচার ডাক।<br />কৃষকেরা ক্ষেতে লাঙল দেয়;গ্রাম্য বধুরা মাথায় ঘোমটা দিয়ে হাতে করে নিয়ে যায় লাল শাক।।<br />এক পাল সাদা হাস গোসল করে অনবরত পুকুরের ধারে।<br />বিকেলের ঠান্ডা বাতাসে উড়ে যায় কত স্মৃতি!!<br />কেনো উড়ে যায় না সেই স্মৃতিগুলো কালো আধারে??<br />আমি যখনই আম গাছের তলে একান্ত নীরবে বসে<br />চেয়ে থাকি নক্ষত্রে ভরা আকাশের পানে,<br />সাদা মেঘের মতো সেই নীলাভ বদনটি ভেসে বেড়ায় আমার সত্তার গগনে।।</p>@ 2024 - শাকিল হাওলাদার