বিষন্ন মরা তপ্ত দুপুরে
চারপাশ জনমানবহীন যেন নিঝুমপুরী!
অপেক্ষা করছি আমি বাস স্টেশনে
ফিরিয়ে আনতে তাকে
অচেনা বিষাদময় পর পার থেকে!


মরা কান্নায় রত ভেঙে যাওয়া যাত্রী ছাউনি র
পচা টেবিলে,
অধীর আগ্রহে বসে আছি আমি
মহাকালের বাসের জন্য---নির্জীব হয়ে শুকনো
পাতার মতো।
পাখির ঝাকের মতো এক পাল রাজ্যের চিন্তা
দোলা দেয় বুকের বিশাল নীলাভ সাগরের মাঝে
বয়ে চলা রুগ্ন জাহাজের পুরোনো মাস্তুলে!


ভোরের আলোর উষ্ণতার মতো তার
আশ্চর্যজনক সজীব চোখের চাহনিতে
ভ্রাতৃপ্রতিম ভালবাসায় ব্যাকুল--অবুঝ মন
আজ শান্তি খুঁজে।
শান্তি খুঁজে--
খসে পড়ে যাওয়া ইটের দেওয়ালে,বিপন্ন রাস্তায়,
শুকনো খেজুর গাছে
কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডে---যেখানে প্রতিদিন যাই ভাত খেতে।
কিন্তু কোথাও একরত্তি শান্তি খুঁজে পাই নি আমি।
যেন এ মনের বিক্ষিপ্ত রাজ্যে
অশান্তির নরখাদক
গলা টিপে হত্যা করেছে শান্তির দূতকে!


দূর্গন্ধময় আধা শহরের ফুটপাত ধরে
ভেসে আসা প্রাইভেট কারের বিদঘুটে হর্নের শব্দে
হেটে চলি আমি আজ দিকভ্রান্ত হয়ে।
যেন আমি অক্লান্ত পথিক
হাটার জন্যই এসেছি এ পৃথিবীতে!


তারপর মনে পড়ে
সেই দোচালা ঘর;
সেই অভিশপ্ত পুকুর;
না ভোলা সেই দৃশ্য;
বাঁচার ব্যার্থ প্রয়াস!
মনে পড়ে--
মায়ের অস্ফুট চিৎকার!
ব্যাথাতুর মনের ক্লান্তিকর চাহনি।
মনে পড়ে--
খড়কুটো রাখা বিশাল উঠোনে র এক কোনে
পড়ে আছে তার নিথর দেহ
শুকিয়ে যাওয়া নিস্তেজ কাঁঠাল গাছটির নিচে!