আজকাল প্রায়ই হেটে বেড়াই একা একা নিরিবিলি সন্ধ্যায় ধানক্ষেতের ধারে।
যখন ভরা বর্ষায় নৌকায় চড়ে জমিনের পালান থেকে চলে যাই অনেক দূরে,
পচা ডুমুরের মতো কিছু ক্ষতবিক্ষত অতীত ভেসে ওঠে এ মনের কোনে।


আমি দেখতে পাই সেই নীলাভ বদন!!
আহা! সজীব পাতার মতো সেই নীলাভ বদনটি আমগাছের ডালে।
মনে হয় কে যেন ভাতের হাড়িতে চটি দিয়ে নাড়াচাড়া করে ফুটানো ভাতের মতো আমার কিছু দুঃখের স্মৃতি ভাসিয়ে তুলে।।


কড়ইয়ের পাতার মতো আজকাল জেগে ওঠি মাঝরাত্রে,
যখন অগনিত নক্ষত্র জ্বল জ্বল করে ওই কালো আকাশেতে;
শিশিরভেজা ফিকে জ্যোৎস্নার ঝাপসা আলো ছড়িয়ে পড়ে মাঠে-ঘাটে,ধানক্ষেতে
কিংবা এক ঝাক শোল মাছ ভেসে ওঠে পাটের অম্ল গন্ধ ভরা জলে।
আমি চাদের দিকে চেয়ে
খেয়াল করি,
তার বুকেও মিশে আছে
কত কালো খাদ!
আমি বহুবার হ্নিদয়ের দরজা খুলে দেখেছি সেখানে
শুকনো পাতার মতো অবহেলায় পড়ে আছে কত অপূরনীয় সাধ!!
মাঝে মাঝে শুয়ে আমগাছের তলে
শুনতে পাই দূর থেকে ভেসে আসা প্যাচার ডাক।
কৃষকেরা ক্ষেতে লাঙল দেয়;গ্রাম্য বধুরা মাথায়  ঘোমটা দিয়ে হাতে করে নিয়ে যায় লাল শাক।।
এক পাল সাদা হাস গোসল করে অনবরত পুকুরের ধারে।
বিকেলের ঠান্ডা বাতাসে উড়ে যায় কত স্মৃতি!!
কেনো উড়ে যায় না সেই স্মৃতিগুলো কালো আধারে??
আমি যখনই আম গাছের তলে একান্ত নীরবে বসে
চেয়ে থাকি নক্ষত্রে ভরা আকাশের পানে,
সাদা মেঘের মতো সেই নীলাভ বদনটি ভেসে বেড়ায় আমার সত্তার গগনে।।