যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে , কবে বেঁধেছিল চুল
সেই মেয়েটি ? দেখেছিল কবে আকাশের তারা
চাঁদের আলো, জানালার শার্সিতে দাঁড়িয়ে একাকী
একা ?


মধুকাল নেই, নেই মধুরাতি, মধু চন্দ্রিকা
আর মধুবন ! মনস্তাপ আর মনান্তর ভরা
দিন রাত ! কাজ , কাজের পরে কাজ
কেবলি আগুন, চুলোর পার, ক্লান্ত হেঁশেল
শয্যা বিহীন উঠোন , ঘর প্রাচীর দেয়াল
ব্যস্ত হাত বাঁধা মেশিনের হাতলে , লোহার
বন্ধনী , গাড়ীর চাকা , রক্ত চক্ষু শানিত
ক্রোধ , হোমানল ! আঘাত আর রক্তাক্ত প্রহর !


আজ আলোর প্রদীপ জ্বালাবার দিন , মনোহর
পাখীর ডানায় উড়বার দিন ! সবুজ ঘাসে ঘাসে পা মেলে
ভাসবার । আকাশের মেঘগুলো চুপচাপ দেখবার আর
বাতাসের বুকে মুখ রেখে কথা কইবার !
অযত্নে পরে থাকা খড়ের গাদার পাশে জীর্ণ শীর্ণ
দড়ীটির মতো ,চুলগুলো বাঁধবার দিন আজ !
বেনুনী কিংবা খোঁপা । এলে মেলো হাওয়ায় উড়ানো
চুল , যা হোক তাইই সই ! নিজেকে নিয়ে ভাববার
দিন আজ, চাইবার দিন
যেখানে আছে চির অধিকার জমা
দিনের পরে দিন!


মুখ বুজেঁ থেকেছে সে কেবলই আঘাত আর অত্যাচার
ভগ্নদূত , ভগ্ন স্তূপ আর ভগ্নাবশেষ
মড়ক মজ্জাগত , মথিত ভস্মাচ্ছন্ন দীপক দীপ!
দুর্দম কন্ঠ আজ মন্ত্র কন্ঠ
ডাক দিয়ে ফেরে হিমাদ্রি , উঁচিয়ে হিরণ
পতাকা বিজয়ের ! দুনিয়ার মজদুর যত এক হও
আর নয় দ্বীপান্তর ,এক হও দেদীপ্যমান
অধিকার আদায়ের সংগ্রামে !