আমি বরং পাখীই হই
পাখী হয়ে উড়ে যাই রুপালী শহরে আর একবার
দূর থেকে দেখি চেয়ে –জলের পুকুরটাকে
যেখানে নাইতাম, তার কি আজও ঘোলাটে জল
যে উঠোনে হাঁটতাম
সে কি আজও তেমনি উঁচু নীচু অসমতল !
যে শিউলীর ডগায় রাঙাতাম ঠোঁট
সে কি আজও ফুলে ফুলে উদাস উতরোল !
আমি বরং পাখীই হই
উড়ে উড়ে ঘুরে আসি রুপালী শহরে আর একবার
যার মাটি আমার চিরচেনা –ঘাস সবুজ
নারকেলের ডগায় আনন্দ চিহ্ন আঁকা শতেক
আমের মুকুলে , পুঁইয়ের ডগায় !
যে পথে আনন্দ সখী সনে কেবলি গান আর ছেলে খেলা
ছাতা মাথে এলোমেলো বাতাস আর বৃষ্টির মহাসুখ
যে রাতে তাঁকে খুঁজে ফেরা , একাকী নির্জন
সে রাত আজও কি তেমনি নিরব একাকী আনমন !
আমি বরং পাখীই হই
একটি বারের জন্য দেখে আসি ফেলে আসা রুপালী শহর
শুনে আসি – কেউ কি বলে আমার কথা একটি বার
কেউ কি ভুলেও নাম ধরে ডাকে আমায় অথবা
আনমনে কারো কি মনে পড়ে আমার কথা বারেবার !