বালিকা দিলেম তোমায় ঔড়ব প্রজাপতি , প্রজাপতি অঞ্জন বালিকা বয়সী
সাত রঙ এজমালি পাখা । ঐন্দ্রজালিক মেঘেদের বাড়ী সারি সারি ।
মোমবাতি মুখ সুখ সুখ ,এক্কা দোক্কা আলো ঊষা রাঙা শাড়ী !


দিলেম একগুঁয়ে গোল্লা ছুট । এঁদো বাদল বনের ছুটি ।
একজোট ছি বুড়ী , হা ডু ডু, লুকোচুরী
কাঠ পেন্সিল ছুঁচালো কিংবা ভোঁতা একাশ্রয়ী !
দু আনার বিকেল বাদাম ভাজা দিলেম , হাবুডুবু
জানালার ছুঁই ছুঁই রোদ ছায়া । বৃষ্টির মায়া ঝরঝর , ঝর্ঝর
কানামাছি কানামাছি শীত ছোট্ট শহরের আর হালখাতা হিজিবিজি !


দিলেম তোমায় ভেজা পা –সমবেত পা ভেজা জল উঠোনের
দারুচিনি দ্বী্প, সন্ধে ছোঁয়া জোনাকির কায়া । সূর্যস্নান আলো ছায়া
বসন্ত ফুল , সূচীপত্র উদাস হাওয়া । সুষমা গাঁদা হলুদ আর দীপ দোপাটি
সেতার চড়ুই ভাতি !


বালিকা তোমায় দিলেম সূর্যমুখী তোরঙ্গে জমানো যত কথা । যাও পাখী তাঁরে
গিয়ে বল সেতারের সেতুকথা নীল খামে আঁটা !
ইচ্ছেমতীর হাঁটু জলে গাঁথা মুক্তোর মালা বিনি সুতোর সুষমা আর
মাছ রাঙা পাখীদের গান যত শরদিন্দু শহরতলী মায়া ছাড়ি !


বালিকা দিলেম তোমায় পরম্পরা বালিকা বয়সী, বালিকা বয়সী
অকপট চুলে এখন খেলা করে অবাধ্য নামাবলী !!