আদুরী নাম তার জন্ম বস্তি কুটিরে,
ঠেলা চলাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে
না বুঝতেই পিতা ধরিত্রী মায়া ছাড়ে।
দিবস কাটে বিপদাপন্ন মাতৃক্রোড়ে,
মায়ের স্বাস্থহানি থাকে শূণ্য উদরে,
অন্ন জোটাতে মা চলে যায় পরপারে।
ক্ষুধায় নিপাতিত শিশু জীবন রণে,
ধনাঢ্য দম্পতি গৃহকর্মে ঝি শরণে।
ক্ষণে ক্ষণে শীর্ণ দেহে চলে নির্যাতন,
শম উচ্ছিষ্ট খানায় ক্ষুধা নিবারণ।
গৃহকর্ত্রী শিশুর জন্মদিন পার্বণে,
সদন মুখরিত অতিথি আগমনে।
শাহি ব্যঞ্জন বিনষ্ট ভোজনের ছলে,
নষ্ট খাদ্য কুড়ায় আদুরী অশ্রুজলে।
দম্পতি সন্তানে বেশি খাওয়ার তরে,
অভিপ্রায় প্রকাশ ডাক্তার অতিথিরে।
সম্মতি দেয় তিনি ওষুধ দিবে বলে,
আদুরী আসে তার সম্মুখে হেনকালে।
ভীরুবক্ষে জিজ্ঞাসে এমন কিছু হবে?
ওষুধে জীবনে কভু ক্ষুধা নাহি রবে।
নিষ্পলক নেত্রে ডাক্তার তাকিয়ে রয়,
প্রশ্নে রক্তক্ষরণ ঘটে তার হৃদয়।


---অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন
      রচনাঃ২০ জুন,২০১৭