যুবক ,কত শক্তিমান এক অস্তিত্ব তুমি
পেশিবহুল দু-হাতের শক্ত মুঠিতে
প্রবল আঘাতে ভাঙ্গতে পারো নিরেট পাথর ।
কত শক্তি তোমার ভালোবাসার
কত সহজেই না বাধার আগল ভেদ করে
দখল নিতে পারো প্রেয়সীর হৃদয় ।
কি ভীষন শক্তি তোমার মগজের,জ্ঞানের, বুদ্ধিমত্তার
বুদ্ধি বলে শক্তি দিয়ে জয় করে নিতে পারো বিশ্বজগৎ
কি অদম্য শক্তি তোমার যৌবনের
মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত করতে পারো রাজপথ
কাপিয়ে দিতে পারো স্বৈরাচারের শক্ত ভিত ।
কি দুর্দমনীয় সাহস তোমার ।
ট্রিগারে আঙ্গুল, উদ্যত সঙ্গীনের নলের মূখে
নগ্ন বক্ষ চিতিয়ে দাড়াতে পারো অবলীলায় ।
কে পারে দাড়াতে তোমার সম্মুখে ?
যুবক, শুধুমাত্র তোমাকে দেখেই
অবলা মায়ের বুকে জমে উঠে সাহসের শক্ত পিরামিড ,
বোনের ভয়ার্ত মূখ হয়ে উঠে ভরসার নীল আকাশ ,
প্রেয়সীর হৃদয়ে দুলে উঠে ভালোবাসার উত্তাল ঢেউ ।
যুবক ,অসাধ্য সাধন করার কি অপরিসীম ক্ষমতা তোমার
দ্রোহের আগুনে ছাই করে দিতে পারো বাধার পাহাড় ।
এত শক্তির আধার হয়েও তুমি নীরব কেন  যুবক ?
স্বৈরতন্ত্রের নিষ্পেষণে হাহাকার চারিদিক
অবলা মায়ের আহাজারিতে বিদীর্ণ আকাশ বাতাস
বোনের ভয়ার্ত চোখে বিভীষিকার কালবোশেখি ঝড়
অত্যাচারীর খড়গ চাপায় গুমড়ে মরছে মানবতা ।
এত কিছুর পরেও কিভাবে তুমি নীরব ?
হে যুবক , তোমার সমস্ত শক্তি একত্রিত করো
ছিন্নভিন্ন চুরমার করে দাও অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ
দুঃখের অশ্রু মুছে হাসি ফোটাও মমতাময়ী মায়ের মূখে
দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর ঘুচিয়ে সুখের বাতায়নে
শীতল করে দাও প্রেয়সীর তপ্ত হৃদয় ।
মানবতার জয়গানে মুখরিত করো আকাশ বাতাস
তুমিই পারো যুবক , তুমিই পারো ।
ফুল বসন্তের অপরুপ সাজে আবার  সাজাও প্রকৃতি
তোমার অপেক্ষায় উণ্মুখ পৃথিবী।