অনন্ত সীমাহীন আকাশ,
নিচে বয়ে যাওয়া বিষাক্ত বাতাস।
মাঝে উষ্ণ আগুনের আবরণ-
গা বেয়ে নেমে আসে পড়ন্ত বিকেলের একঝাক প্রবীণ রৌদ্র।
আর নেমে আসে জীবনের শেষ প্রান্তে রয়ে যাওয়া-
ধীরে ধীরে বয়ে যাওয়া বার্ধক্য প্রাপ্ত হিংস্র হাওয়া।


আসেনি সোঁ সোঁ বেগে-
উন্মাদ পাগলের মত রেগে।
জাগেনি নতুন দিনের নতুন ভোরের বন পলাশ।
আসেনি আনন্দে জীবনের ছন্দে,
আসে মৃত্যপ্রাপ্ত শত শত নীরব লাশ।


রাঙা সূর্যের দিকে চেয়ে,ঠোঁটে ঠোঁট রেখে,
জীবনের বাঁকে বাঁকে- করি উল্লাস।
কোমল পাপড়ি মেলে আঁখি,
না জানার ভানে চেয়ে দেখি।
ক্ষীণ আশার জীবন- শুধু বাঁচতে চায়।
শুধু ভালোবাসায়, স্বপ্ন আশায়।


চেয়ে থাকে বৃষ্টি ভেজা মেঘের দিকে।
চায় রামধনুর সপ্ত রঙের হালকা আবীর।
রঙে যাক সদা ব্যস্ত জীবন নানা রঙে-
নানা সঙে নানা ডঙে।
মৃত্যুর টলমল ব্যস্ত সারা সময়।


বাতাসে উড়ে যাক-
শরীরের পাঁজরে,রক্ত কণায়,মাংস পেশীতে থাকা হাহাকার।
অন্ধত্ব, হিংসা, পশুত্ব, আর হিংস্র অহংকার।
হোক স্বপ্ন ভেজা আগামীর সবুজ নতুন সকাল।
আসুক সুখে জীবনের বিকাল।
তুলে নেবো ভা্লোবাসার ফুল, আর পাপিয়া বকুল।
........................................................................
৩১-০৫-২০১৮ নগর, মুর্শিদাবাদ।