[অনেক আগের ভাবনার লিখা- শ্রদ্ধেয় কবি  “প্রবীর চ্যাটার্জী” মহাশয়কে উপহার দিলাম যিনি অজান্তে আমার  প্রেরণা]


বলবো না আর,কোনোবার-
আকাশের মতো হবো।
নীল দিগন্তে ভেসে ভেসে
বাতাসের সাথে রবো।


তারাদের দেশে,ভালোবেসে
তাদের সুখের সাথী হবো।
আনমনে, নিজের প্রাণে
মেঘ ভেলায় ভেসে যাবো।


হয়েছে কথা পাহাড়ের সাথে-
হচ্ছে সে ক্ষয় দিবারাতে।
শত ব্যথা হৃদয়টাতে-
আসেনা কথা কারো কানেতে।


বলে “ একদিন মাটির
ধূলিতে মিশে যাবো।
হয়তো বন্দী হয়ে মানবের
বুকের পাঁজরে রবো”।


তরুলতার, বৃক্ষ শাখার
করুণ নয়নের আবেদন।
বলে “রক্ষা করো মোদের-
যারা আছো প্রিয় জন”।


সাগরের বুকে, মহা সুখে
বয়ে চলে শত ঢেউ-
হাজার বেদনা, মনের যাতনা-
বুঝেনা কোনোদিন কেউ।


মাটির ব্যথা, করুণ কথা-
লুকিয়ে রেখেছে পাঁজরে।
শত যন্ত্রণা,হাজার বেদনা-
রয়েছে ভাঙা অন্তরে।


আকাশ,বাতাস দূষিত আজ
মোদের আনন্দের দাবানলে।
বিষাক্ত জীবানু ছড়িয়ে আজ
জীবনের স্বচ্ছ জল-স্থলে।


আকাশ নয়, বাতাশ নয়
নয় শুদ্ধ তারার দেশ।
কোথাও নেই সুস্থতা-
সবই আজ প্রতিকুল পরিবেশ।
..............................................................................
উপরের কবিতাটি আমার গ্রামের পাশেই বিল পাটন- সেখানে লিখা।


“বিল পাটনীর তীরে-
অনেক ভাঙা ছেঁড়া শব্দ ঘিরে।
লিখেছি এই কবিতা।
আজ শুন্য পাটনী-
শুনি অতীত কাহিনী।
চোখে আসে আনন্দে জল।
সপ্ত ডিঙায় কত মাধুকর করতো চলাচল।
ধীরে ধীরে গুটি গুটি পায়ে ভালো মন্দে,চলছে সভ্যতা”।


*************************