শুধু খুঁজেছি আর খুঁজেছি ,
গ্রাম বাংলার বাঁকে বাঁকে,
খুঁজেছি মাটির বুকে বুকে,
শুধু একটু মধূর ঘ্রাণ।


যে ঘ্রাণ চিরকাল দিত
প্রতি শরতের শেষে, নতুন ধানের শিষে,
নব প্রভাতে মিশে- হেমন্তের অঘ্রাণ।


নেই আজ আর চাষা,
হারিয়েছে কোমল মাটি তার ভালোবাসা।
মাটির হৃদয়ের মধূর গন্ধ,
আর চাষার প্রাণের আনন্দ।
যেন কবেই হয়েছে শেষ।
করুণ মাটি, বেদনায় চায় শুধু- নীল আকাশের দিকে।
যেন তার আঁখি, বেদনায় শুধু ফিকে।
সে যেন আজ হাহাকার, যাতনার মরুর দেশ।


হারিয়ে গেছে কোদাল, লাঙল, হালের বলদ গরু।
কবে থেকে পতন হয়েছে শুরু-
ভাবে নি নাকি দেশ, ভাবে নি সমাজ-
চারিদিকে শুধু রব, কৃত্রিমেই সাজ সাজ।


চেয়ে আছে শুধু নীল আকাশে পানে।
শত আশা হোক উদয়,আগামীর প্রজন্মের প্রাণে।
আসুক মধূর ঘ্রাণ, জুড়াক শত প্রাণ।
.............................................................................................
“চাষা” কথাটা লিখার জন্য এই কথাটুকু  বলা-
কিছু দিন আগে এক বন্ধুর সাথে দেখা, কেমন আছো জিজ্ঞাসা করতেই “কেমন থাকবো ভাই আমরা চাষার ব্যাটা, জমি নাই,ধান নাই- যেটুকু আছে লাভ নাই- মুম্বাইয়ে মজুর খাটি- পয়সা একটু বেশি পাই।এখন  গরু, লাঙল,কোদাল নাই আষাঢ় মাসের চষা মাটির গন্ধ আর নাই। সত্যি যেন ঠিক তাই।–
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে
“কোথায় যেন হারিয়ে গেছে বাটনা বাটার শিল,
কোথায় যেন হারিয়ে গেছে চড় থাপ্পড় কিল-
মায়ের আদর,নানীর সোহাগ হারিয়ে গেছে ভাই-
শীতের রাতের দাদির গল্প,কোথায় গিয়ে পাই।
নানার ঘাড়ে চেপে ও ভাই আনন্দে গান গাই-
দাদোর সাথে বিদ্যালয়ে মহানন্দেতে যাই-
আব্বা যখন আসতেন ফিরে-আনন্দেতে ফেলতাম ঘিরে।
পেতাম হাজার সুখ-আনন্দেতে ভরে যেত সবার বুক]