কিভাবে হবে বিনা সুতোয় শব্দ গেঁথে  কবিতা মালা।
সুর ছন্দ আর প্রাণের গান----
নেই সুদৃশ্য বন্ধন। উঃ বড্ড ভারি জ্বালা।


শব্দরা চুপচাপ-
আজ আর কথা বলে না।
তবে মাঝে মঝে বৃষ্টি ভেজা রাতে,
শুনি টুপটাপ শব্দ- কি জানি কি কথা বলে।


ভাঙা কুঁড়ো ঘরে নেই বাস।
স্বাধীন ভাবে  চালের খোঁটর  থেকে-
শুনি সারাদিন চড়ুই এর কিচিরমিচির শব্দ।
আনন্দের নাকি বেদনার- কি জানি কি কথা বলে।


রাখালের বাঁশি-
আজ পরিতক্ত- গরুরা গৃহবন্দী।
হাতে আধুনিক সুরের মূল্যবান যন্ত্র।
হৃদয়ের গভীর থেকে ভেসে আসে ক্ষীন শব্দ-হতাশায়।


শুকনো নদী না হয় ভয়ঙ্কর-
শুনি আজ ভাটিয়ালী গান-
বেরিয়ে আসা শব্দ রাশি- বেদনার,না জুড়ায় প্রাণ।
শ্রোতাগণ ক্লান্ত-নাকি উন্নত,নাকি কমে গেছে ভাটিয়ালীর মান--


মায়ের মুখের ঘুম পাড়ানি,
চাঁদ মামার গান-আজ আর নেই।
লাজুক চোখে জ্যোৎস্না ভেজা রাতে চাঁদ মামা চেয়ে থাকে।
শব্দরা ক্লান্ত নাকি ভুলে গেছে দিদি বোন-না হয়না মনের মতন।


কি আষাঢ় কি বা বসন্ত-
রাঙা মেঘে রাঙা দিগন্ত- আজ বড়ো দৃষ্টিহীন।
এতো নতুন শব্দ এত সুর, তবু কেন মিছে ভাবি প্রতিদিন।
কোকিলের কলতান আর অচেনা পাখির গান---
আসেনা হৃদয়ের পানে- ছুটেছে বিপরীত টানে- বিষন্ন গানে গানে।
..................................................................