আমি হাসতে জানি না,
বলিস না কেউ ভাই।
হাসির কথা শুনলে আমি
সেথায় ছুটে চলে যাই।


আশি বুড়ির মিষ্টি হাসি,
সকাল বিকাল শুনি।
শুনলে ভাবি বাজে বাঁশি।
ভয়ে নামতা গুনি।


ব্যাঙের হাসি সর্দি কাশি।
শুনতে লাগে প্রাণে ভালো।
সেই হাসিতে ফুল ফুটে ভাই।
ভাবি হাজার প্রদীপ আলো।


পাচু কাকা ফোকলা দাঁতে।
শুধু শুনায় হাসির গান।
তার হাসিতে পাগল পাড়া।
সদা ব্যস্ত শান্ত প্রাণ।


হাসিতে বাঁশিতে শুধু কাশিতে।
থাকে পাড়ার পাগল বুড়ো।
চোখে জল মুখে হাসি।
হুঁকো হাতে ব্যস্ত খুঁড়তে।


মায়ের আদরে, মমতা ঘিরে
খোকা হাসে ফোকলা দাঁতে।
সেই হাসিতে চাঁদ মামা হাসে
তারারা হাসে গভীর রাতে।


মাছরাঙা হাসে কাজল চোখে।
দোয়েল হাসিতে দেয় সুর।
কাকের কর্কশ হাসিতে-
সবাই হাসে বাজে শত নূপুর।


পাটন বিলে পদ্ম শাপলা হাসে,
হাসে পাঁতি রাজ হাস।
সারা বাংলায় শত হাসি-
আসিস,দেখবি ভাই বারোমাস।


চাষী হাসে গরুর সাথে।
করে হাজার ফসলের চাষ।
শ্যামল বনে ফড়িং হাসে-
যেথায় রয় হাজার সবুজ ঘাস।


রাখাল হাসে ধবলীর সাথে।
হাসি পায় বাঁশিতে প্রাণ।
বাউলের হাসি একতারাতে
সুর নিয়ে হয় গান।


.......................................
বাকি থাকল। আগামীর জন্য......