তখনের রেসকোর্স লাল-সবুজের ময়দানে,
উত্তাল হলো দেশ ঐতিহাসিক মার্চের ভাষণে।
৭ই মার্চের ভাষণ হলো বিশ্বখ্যাত,
গর্বের উর্বর অনুপম বিশ্বনন্দিত।
লাখো জনতা এক হয়েছে,
বাঙালির প্রিয় জয় বাংলা শ্লোগানে।


অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান বাঙালি জাতি,
বজ্রকন্ঠে শুনবে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার বানী।
অবশেষে এলেন মহান নেতা,
বেজে উঠলো মহান বজ্রকন্ঠ সেথা।
মন্ত্রমুগ্ধ জনতা শুনলো অনন্য মুক্তির গান,
জাগিয়েছে সাড়ে সাত কোটি বাঙালির প্রাণ।
জয় বাংলা জয়োধ্বনিতে ছিল মুখর,
প্রতিটি ঘর প্রতিটি যোদ্ধার অন্তর।
ভাষণটি মুক্তিকামী মানুষের জন্য ছিল দামী,
নির্মিত হলো স্বাধীনতার অমর কবিতাখানী।


নেতার নির্দেশে অচল হলো দেশ,
পশ্চিম জান্তাদের দিন হলো শেষ।
জান্তবের আক্রমণে ধর্ষিত বাংলা জ্বলে-পুড়ে,
মৃত্যুপুরী হতেও ঠিকই দাড়িয়েছে ঘুরে।
আজ সেই ঐতিহাসিক ভাষণ জন্ম দিয়েছে দেশ,
জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! জয় বাংলাদেশ।


জাতির জনককে স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধায় ভরে,
পৃথিবীর বুকে দিয়েছো এই মানচিত্র এঁকে।


রচনার স্থান ও তারিখঃ ০৬/০৩/২০১৮, ভেলোর, তামিলনাডু, চেন্নাই, ইন্ডিয়া