বায়ান্ন একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের স্মরণে,
পুরোনো আকস্মিক ঐতিহাসিক স্মৃতি বাঙালির জীবনে।
মায়ের মুখের চেনা ভাষা লক্ষ শহীদের রক্তে লেখা,
একুশ আমাদের অহংকার, একুশ মাঠের তৃণলতা।
বসন্তের কৃষ্ণচূড়ার ডাল, লাল সবুজের নিশান,
সবুজ দেশের সোনার ছবি পাখ পাখালির গান।


মুখের ভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিল কেউ ,
বুকে ওঠে দুঃখ-জ্বালা কষ্টের প্রসার ঢেউ।
এরচেয়ে বড় দুঃখ হতে পারে আর কিসে,
এই ধরাধমে বেঁচে থাকা জীবনটাই হতো মিছে।
এমনই জীবন ছিল আমার বঙ্গ মাতার কোলে ,
লক্ষ-কুটি তাজা জীবন দুঃখ-আঁধারে দোলে।
আঁধারের দুঃখভরা মানুষের জীবন করতে উদ্ধার ,
সালাম বরকত রফিক দেখালো মহৎ উদার।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর গলায় তুলে খড়গ ,
মায়ের ভাষা ফিরে পেতে জীবন করলো উৎসর্গ।
নাদান পাকিস্তানি মান রাখি জীবন নিয়ে পালায় ,
ফিরে পেলাম মায়ের ভাষা বিজয়ের ফুল গলায়।
ভাষা ভাষা করে যারা জীবন করেছে বলীদান ,
আজও কাঁদে তাঁদের তরে মোদের সবার প্রাণ।
বায়ান্ন তুমি চির অম্লান চির শাশ্বত মোদের বুকে ,
তোমারে স্মরণে বাঙালি কাঁদে বলতে পারে না মুখে।
এই ইহলোকে আর কেউ নাই মায়ের ভাষার তরে ,
দিতে হয়েছে লক্ষ জীবন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
একুশে এই দিনে সকলের প্রাণ কাঁদে খুব বেশি,
একুশের চেতনা ধারণ করে অশ্রুঝরে, মুখে নেই হাসি।
কেঁদে কেঁদে মোরা খুব ক্লান্ত সবে প্রাণ হলো অবশ,
দখল করেছে অশ্রু মোদের এই বাংলার ভাষা দিবস।