ফাল্গুনের ফুল ফুটেছে দেখ সবে ঐ,
ফুল নয় সে কাটার খোচায় করলোরে হৈচৈ।
ফাল্গুনের ঝুর ঝুর শব্দ শোনা যায় বনে বাদারে,
ফুল-কলি পাতা গুলি দোলছে দেখ বাতাসে।
শীতের শিশিরে দেখা যায় কত গাছ পাতা ছাড়া,
ঝড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে যায় না বোঝা মরা নাকি জ্যাতা।
মলয় বায়ূ বয় চারিদিকে, ভালো লাগে দেহে,
বসন্তের আগমনে নতুন জীবন পায় সকলে।
শীতের জড়া-জড়ি বিদায় নিল এখন,
ফাল্গুনের আগুনে পুলকিত সকলের মন।
ছেলে-মেয়ে মাঠে সবে খেলায় উঠিল মাতিয়া,
অতিথি পাখি আকাশে উড়ছে দল বাঁধিয়া।
বসন্ত আরম্ভ হয় পাখির গুনগুনানী,
ভোমরা আসবে ছুটিয়া গান গাইবে ঘুমভাঙানি।


হলদে, বাসন্তী, লাল আর কমলা,
শাড়ী নিয়ে মাতোয়াড়া তরুণী চপলা।
এক পায়ে মল আর গোল টিপ কপালে,
সাজুগুজু শুরু হয় সেই ভোর-সকালে।
হাত ভরে বিভিন্ন রঙয়ের চুড়ি বাজে রিনিঝিনি,
পরছে নানা গহনা-গাটি জম্পেশ বিকি-কিনি।
আয়োজন করে সময়োপযোগী বিভিন্ন ধরনের পিঠা,
সবে-মিলে করছে হৈচৈ আর আড্ডা।


প্রবল বায়ূর ধাক্কা সজ্জিত প্রকৃতিতে লাগিবে যখন,
বেনু বনের মর্মর শব্দ সকলে শুনিবে তখন।
দোয়েল-কোয়েল আর পিক্ পাপিয়া,
কত মধুর সুরে কেড়ে নেয় হিয়া।
রবি শস্য ফাল্গুনে অনেক ফলন ধরে,
খেত ভরা ফলনে চাষির মন মোহিত করে।
মাঠ-ঘাট প্রান্তর অপরূপ সাজে,
এত সুন্দর রূপ কখন না মিলে।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ফোটে বসন্ত কালে,
সকলে বিমুগ্ধ আজ ফাল্গুনের প্রেমে।


বসন্ত আসে প্রকৃতির সাথে সবার মধুর মিলন ঘটাতে,
জীর্ণতা সরিয়ে ঋতুরাজ এসেছে মধুর মিলন রটাতে।
প্রকৃতির প্রাণ পেয়েছে ফিরে, ফুলে ফুলে আগুন,
শীত গেল চলে, আজ পহেলা ফাল্গুন।