চোরগুলো চুরি করে বানায় ফ্লাট বাড়ি,
বছর গেলে ঘুষের টাকায় বদলায় রঙ্গীণ গাড়ি।
ধরণীতে যার যত হয় বেশি ঘুষের পরিমাণ,
তাকে সবে ভেবে থাকেন অনেক ক্ষমতাবান।
কাপড় ধুতে সকলে হালাল সাবান খোঁজেন,
হারাম খেয়ে ঘুষখোর তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন।
ন্যায়ে কাজে ঘুষ নেয়ে বিভিন্ন অজুহাত তোলে,
অপকর্মে লিপ্ত হয়, থাপ্পড় মেরে সততার গালে।
ধর্ম বলে মানুষে মানুষে ঘুষ নিতে রয়েছে মানা,
ঘুষ নেওয়া কঠিন পাপ একথা সবার আছে জানা।


নামে-বেনামে ঘুষ লেনদেন অফিসকক্ষে চলে,
অনেক কর্মকর্তা গিন্নীর কাছে ঘুষকে মফস্বল বলে,
ঘুষের দায় প্রিয় জনকে চাকরি যাবার খবর দিলে,
গৃহিণী বলে চাকরি না থাকলেও মফস্বল যেন থাকে।


দুষ্কৃতি বেতন ভাতা যত যাহাই পায়,
ঘুষ না নিলে কোন কিছুতে তৃপ্তি নাহি হয়।
ঘুষখোর আপন জনের সাথেও প্রতারণা করে,
মিথ্যে প্রলোভনে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে।
দুর্নীতি করে পিতা-মাতাকে দিও না পাপের ভাগ,
সৎপথে থেকে চিরতরে ঘুষকে কর পরিত্যাগ।


মহান স্বাধীনতার পরে দেখছি আজও নির্যাতন,
সোনার বাংলা বাঁচাতে লাখো শহীদ করেছেন আত্মদান।
রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে জনতা আজ করছে কত কাম,
প্রাণের বিনিময় স্বাধীনতার মিলছে না কোন দাম।


জনস্বার্থে সকল কাজ করতে হবে ঘুষবিহীন,
দুর্নীতিগ্রস্থ থেকে জনতাকে দিতে হবে প্রটেকশন।
করনা কেউ ভুলেও এমন পাপের কাজ,
ন্যায়ের পথে চলবে সবে শপথ কর আজ।
এ জগতে যত আছে সৃষ্টি, মানুষ সবার উপর,
মানুষ হয়ে জন্ম নিয়ে হইও না ঘুষখোর।


রচনার তারিখ ও স্থানঃ ০৪/০৩/২০১৮, ভেলোর, চেন্নাই তামিলনাডু,  ইন্ডিয়া।