করবনা করবনাগো ,
পাঠ ওরে করবনাগো ।
পাঠশালা বন্দীশালা ,
মারো তালা মারো গো তালা ।
কেবলই কষায় বেতে ,
মিছে মিছে অযথেতে ।
আসছে ঐ ভোলানাথ ,
খিচিয়ে বত্রিশ দাঁত ।
বেতাঘাত চাপবে গায়ে ,
ছাপবে দাগটা কায়ে ।
চামটা কী বাপের কেনা ?
ওরে বাবা আর সহেনা ।
পাঠে পাঠে যায়যে বেলা ,
আসেনাকো ওয়াক্ত খেলা ।
কয়ব চুরি বনে বনে ,
পাড়ার ঐ হাবুর সনে ।
গাছে ঐ আম আতাফল ,
কে খাবে পাকছে বিফল ।
মাছগুলো ডোবায় থেকে ,
জমছে তা দেখেই বা কে ?
কাবুলের কুমড়ো ক্ষেতে ,
আছে কত কুমড়ো পেতে ।
কে করে হজম অতো ?
গুনে শেষ না হয় কত ।
মানিনে মায়ের বারণ ,
চ্যাঁচিয়ে যায় অকারণ ।
বলে "ওরে কিল না খেতে" ,
"যারে যা পাঠশালেতে"।
আমি বলি বন্দীশালা ,
সহেনা গো মস্ত জালা ।
ছাড় দাও আজ ওগো মা ,
নেই কী গো দাড়ি কী কমা ।
"ঢের হল ঢের হল রে" ,
"এ বেলা চল পাগল রে" ।
আমি কীগো অতই সোজা ?
নেবো না যে পাঠের বোঝা ।
আমি গো চপল পাগল ,
মানিনে বদ্ধ আগল ।
দিলেম আজ পাঠকে ছুটি ,
ছুটি জুটি লুটোপুটি ।
ভোলানাথ আজকে না হয় ,
বেতটার থামুক সে লয় ।
ছুটি আজ দুইজনার ,
ছাপবে না পিঠ আজ আর ,
ছুটি ঐ বেতেরও বটে ,
ছুটবে না আজতো মোটে ।
দিলেম আজ সবকে ছুটি ,
ছুটি তাই দিকেতে ছুটি ।
পাঠশালা মারোগো তালা ,
ঢের জালা বন্দীশালা ।