(আমি) স্বাধীণ দেশের কবি -
চলাতে স্বাধীণ বলাতে স্বাধীণ তুলিতে স্বাধীণ ছবি ।
(আমি) নিয়মের নই দাস -
নীতি প্রথা যত ভেঙে করে নত ছাড়ি মুক্তশ্বাস ।
(আমি) সূত্রের প্রজা নই ,
(আমি) বিদ্রোহ করে সূত্র প্রথার মানবের কথা কই ।
দিন ক্ষণ মাস কালের উর্ধ্বে আমি !
আধুনিকতার বেড়াজাল ছিড়ে মহাকালে এসে নামি ।
জাত পাত কাল উর্ধ্বেতে আমি অঞ্চল -
ছন্দ বিধান ভেঙে হই সারা বিশ্বের বুকে চঞ্চল ।
উর্ধ্বেতে আমি অঞ্চল !
কবি কি অ-কবি যাই হই আমি ভাই -
ভালবেসে আমি মানুষেরে যত প্রেম গান লিখে যাই ।
(আমি) ভিন্ন প্রতিচ্ছবি -
(আমার) উদয়ে স্বাধীণ অস্তে স্বাধীণ দীপ্ত রক্ত রবি ।
(আমি) মুক্ত স্বাধীণ কবি ।
গদ্য পদ্য মাত্রাবৃত্তে এসে -
ছন্দ কারায় হয়ে আবদ্ধ কবিতারা মরে শেষে ।
(আমি) আমার নিয়মে ভালবেসে যাই আমার স্বদেশ ,ধরা ,
(আমি) আমার নিয়মে সজীবতা দেই জীর্ণ ,শীর্ণ ,জরা ।
কে বাঁধে আমায় কারায় ,
কে করে বদ্ধ আবেগ আমার আমি ছুটি স্রোত ধারায় ।
(আমি) "সৃষ্টি সুখের উল্লাসে" ,আমি "বিদ্রোহী" তান চারপাশে ,
ছন্দ বিধান পরাজিত করে আমার কাব্য প্রাণ হাসে ।
ভাসছে গগনে মুক্ত বিহগ কত -
মুক্তির মাঝে কত না ছন্দ আছে আনন্দ শত ।
আমি এক বিপ্লবী -
উদয়ে স্বাধীণ অস্তে স্বাধীণ দীপ্ত রক্ত রবি ।
(আমি) মুক্ত স্বাধীণ কবি ।
দুখু নজরুল গুরু রবীন্দ্র কতনা জীবনানন্দে -
সাম্য শান্তি বিশ্বের বাণী লিখেছিল কত ছন্দে ।
কতনা জীবনানন্দে ।
(আজ) ভেদাভেদ নেই ছন্দ ,
বিদ্রোহ করি সে বিধান আমি যে বিধান কারা বন্ধ ।
কবিতার মাঝে হয়ে গেছে এসে মুক্ত স্বাধীণ সবি ,
(আমি) মুক্ত স্বাধীণ কবি ।।
(অতিরিক্ত মাত্রাকে বন্ধনী চিহ্ন দ্বারা আবদ্ধ করা হল ।কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দের বিভিন্ন অঙ্কের ছন্দে রচিত ।)