এখন অনেক রাত ,
শুয়ে আছি মস্ত ইমারতের ছয় তলায় ।
ভূমি থেকে অনেক উঁচুতে আমি জানালার পাশ ঘেষে -
ঘনঘোর নিশীথে আছি তাকিয়ে মেলে দিয়ে জানালার দ্বার অন্ধ আকাশ পানে ।
ফেলছি দু চোখের পলক ;ভাবছি আনমনা হয়ে ,
কি এক আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে দাঁড়ায়ে আত্ন প্রতিষ্ঠিত ইমারতটি -
অচিরেই পড়ে উঠল মনে আত্ন চিন্তা ,নিজকে নিয়ে সুদৃঢ় এক ভাবনা ।
জীবনের সংগ্রামময় পথে হতে হবে আমাকেও বড় ,এক দীর্ঘ উচ্চতা সম্পন্ন ,
গাঢ় ,মজবুত ভিত্তির মতো হয়ে উঠতে হবে প্রতিষ্ঠিত ।
বিস্মিত দৃষ্টি হঠাতই চলে গেল অদূর আকাশের তারকা দলের ভীড়ে ,
জ্বলজ্বল তারকাদের পানে চাইতে না চাইতেই এক নূতন ভাবনা উদিত হল ।
হতাম যদি আমি তারকা ,জ্বলতাম ঐ আকাশে আলোক ঐশ্বর্য নিয়ে ।
ভাবতেই চলে এলো ঘুম ;চোখ জোড়া স্তব্ধ হয়ে এলো,
অচেতন তন্দ্রাময় নিদ্রায় যাই চলে ভেসে স্বপ্ন মেলায় ।
বিস্মিত করে নিজকে আবিষ্কৃত করলাম মুক্তাকাশের জ্বলজ্বল তারকার শোভায় ,
আলোক ঐশ্বর্যে শোভিত হয়ে অভিভূত যেন আমার আমি !
পৃথিবীর বুক থেকে আছে চেয়ে লক্ষ কোটি আঁখি পলকহীন আমার পানে ,
আছে চেয়ে এক মুগ্ধময় দৃষ্টিতে ।
যেন সবাই চায় পেতে একই ঐশ্বর্য ,
করতে চায় আপনকে সেই মুগ্ধতাপূর্ণ শোভনের শোভায় শোভিত ।
ঊষার উষ্ণময় ঝলমল রদ্দুর আলোয়
আঁখি জোড়া ঘুমহীন হল ,
এখন স্বচ্ছময় এক সকাল ,
মুখোমুখি আমি বাস্তবতার ।
স্বপ্ন যতটাই সরল বিপরীতে রয়েছে তার
বাস্তবতা ।
যতটাই সহজ ভাবায় স্বপ্ন
বাস্তবকে ততটাই কঠিন ভাবায় বাস্তব
স্বপ্নকে ,
স্বপ্ন অচিরেই দেয়
এনে ঐশ্বর্য ;বাস্তবতার
প্রাতে নামতে হয় এসে সন্ধান সংগ্রামে ।
বাস্তবতা ,যেন স্রস্টার এক
অতি কঠোর ,অতি অনমনীয় ,অকোমল
দান !
বাস্তবতা ,যেন এক অপ্রিয় সত্য বাণী !