( মাত্রাবৃত্ত > ৬+৬+৬+২ )


জাত পাত ভেদ খ্রীষ্ট বুদ্ধে কী সে ঘাত প্রতিঘাত ?
ভ্রাতা কি কাঁদেনা ভ্রাতার শরীর
লভিলে কোন আঘাত ?
ধরণীর পরে সকলেই মোরা রক্তের ভাই ভাই ,
রক্তেতে নাই জাত পাত ভেদ
ছেদিয়া দেখনা তাই ।
এইতো সমতা মানবে মানবে মমতার ডোরে বাঁধা ,
মুসলিম যত অধীকার ভোগে হিন্দুরা তাতে আধা ।
জীবনের ঘোর শিখা পথে যারা যুদ্ধ রচিল ভীম ,
পদাঘাতকরে হিন্দুরা ,পড়ে রয়নিকো মুসলিম ।
সংগ্রাম বিদ্রোহ করে যারা করে গেল দান প্রাণ ,
দেখ গিয়ে সেথা পড়ে আছে লিখা সকলের অবদান ।
চাষা ,মাঝি ,জেলে মজুরের
ছেলে ওতে নাই ভেদ জাত ,
ও রচে অন্ন ,ও গড়ে প্রাচীর ,ও
তো কান্ডারী প্রাত ।
ওরাও মানব রক্তে-মাংসে নাই কোন বিচ্ছেদ ,
ওরাও তো করে সংগ্রাম ভবে কেন তবু ভেদাভেদ ?
ধ্বনিল যাহারা রণিত
রণেতে ক্ষণেতে ক্ষণেতে বীণ ,
চপল মনেতে উগ্র পণেতে ছিল কে ছিল সেদিন ?
ছিল নাকো জাত ভেদাভেদ পাত সকলেই ভাই ভ্রাতা ,
কেন আজি তবু মিলিছেনা কভু এক ভ্রাতারই মাতা ?
সমতার বাণী রচিয়াছে সেতো নজরুলেরই মসী ,
দিক তরঙ্গে মাতাইয়াছিল
ক্ষুরধারা সেই অসী ।
আজিকেতে কেন বিলীন মসীটা মলিন তাহার বাণী ?
ভেদাভেদ ভুলি সমতার তরী বহেনা কেন না জানি ।
ধর্মে ,বর্ণে ,চর্মে ,কর্মে রেখো না যে ভেদাভেদ ,
সমতার স্রোতে মিশে যাই
চলো ভুলে যতো বিচ্ছেদ ।
এসো মিশে যাই সমতার দিক
পানে পানে ধিকে ধিকে ,
চলো হেসে গাই মানবের গান মহাকাল রেখো লিখে ।
রচে যাই আজি নজরুল আর চন্ডী'র বাণী তাই -
" সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার
উপরে নাই "