( অক্ষরবৃত্ত ছন্দ > ১২+৮ >অন্ত্যমিল রক্ষিত )


বহুক্ষণ বহুবর্ষ গ্যাছে চলে ;ঘুমায়িত তুমি রবি
জগত যেন অসাড় আজ এক অনুভূতিশূন্য ছবি ।
বহুকালের এ প্রকৃতি আমার আলোহীন ,অনুজ্জ্বল
হ্বদয়ে আছে বিম্ব-মুরতী তব ;নেই তুমি এই পল ।
সেদিন হতে বহু বর্ষ পরে এসেছি জগতের পরে আমি
করি অনুভব শূন্যতা তোমার ,সৃষ্টি মাঝে দিবা-যামী ।
গহন থেকে গহনতম বাণী ,পূর্ণ হ্বদয় সুবাসে
নিকট হতে হই নিকটতম ,প্রাণাবেগের উচ্ছাসে ।
বিরাজে হ্বদয় নিবিড়ে আমার ,দীপ্ত প্রাণবন্ত বাণী
ক্ষণে ক্ষণে যায় করে মর্মস্পর্শ গভীর ব্যঞ্জনাখানি ।
তুমি জলধির ন্যায় প্রগাঢ় প্রশস্ত ;দীপ্তিমান জ্বলজ্বল
তুমি ঝরণার মতো শৈল্পিক ছন্দিত ,উচ্ছলিত ছলছল ।
স্তব্ধতা নিঃশব্দতার মাঝে তুমি শব্দময় বর্ণময়
শূন্যতার বাঁধনে পূর্ণতা তুমি ;ত্রাস শঙ্কায় নির্ভয় ।
নিঃপ্রাণে তুমি জীবন্ত-সজীবতা ;পথ্যের দৃষ্টি অন্ধের
ধূ ধূ বালুকার মরুভূমে এক জলধিময়ানন্দের ।
সীমানার ডোরে সীমাহীন তুমি ,অনন্ত দিগন্তহীন
নির্দয় অন্তরে জাগো নিয়ে প্রেম  নিত্য নিরন্তর দিন ।
রুদ্ধতার ডোরে উন্মুক্ততা তুমি ;অমরা নরক মাঝ
জাগো অজ্ঞানে হয়ে জ্ঞানের ঝর্ণা ,পুরাতনে নব সাজ ।
মুর্তী-প্রতীমা বক্ষে হ্বদয় তুমি ;পাথর বক্ষে ক্রন্দন
ঝঞ্চা-সমীরে বিনম্র শান্ত তুমি ,উপমা করে লঙ্ঘন ।
ফের জাগো তুমি ,জাগো তুমি ফের ,জাগো ঘুমায়িত রবি
ঔজ্জ্বল চির উজ্জ্বল হয়ে ফের এসো দীপ্ত আলোচ্ছবি ।