ঝাঁটা ,জিন্স প্যান্টটাও ছিল বড্ড টাইট ফাইট
যেতে হলো হাঁটে ।সন্ধ্যা করে পথে ;পকেটে লাইট ।
আরো কালো হয় চোখে ,দু'পাশে গাছের ঝোপ ভারি
কোত্থেকে ভাসল বাঁসি গো-সাপের ঘ্রাণ ।নেই গাড়ি
তাই হেঁটে ধরি পথ ,চোখের পেছনে শুধু ডাকে
ঝিঁ ঝি পোকা কেশে কেশে ।বড় জ্বালাতক বাঁকে বাঁকে ।
একহাত পাশে ছিল বাল্যবন্ধু 'কাশিনাথ ভোলা'
ভেদড়টা হাঁটে আস্তে ,এইদিকে হাঁট হয় ঘোলা ।
জোনাকীর সাদা আলো ছিটে আসে হারিকেন যেন
হতচ্ছাড়া শেয়ালটা ভয় ছুঁড়ে হেঁকে ওঠে কেন !!


এবার সামনে পড়ে খিটখিটে প্রকান্ড কুকুর
সাঁতার জানিনা কিছু ,বাঁয়ে ছিল বিরাট পুকুর ;
শরীরের দিকে আসে তেড়ে
'কেঁদে বাঁচি দে আমায় ছেড়ে' ।
কালোমুখো ভূতভূতে খাঁটাসের মতো বোঁচা নাক
আমি বলি 'ভোলা পালা'! ;ভোলা বলে 'ভগবান ডাক'! ;
কেলিয়ে দাঁতের পাটি লাফ ছাড়ে যেন ঘাঁড় পেঁচে
'ভগবান-ইউনুস' বুকে পুতি মুখে মেজে ছেঁচে
কুকুরটা দিল তাড়া 'ওরে বাবা প্রাণটা সামলা' !!
অন্ধকারে বেহাল মামলা !
'গোদা' হংসের মতো ডানাঝাপ দিল গোলজলে
জব্বর বেঁচেছে ফলাফলে ;


আমি বুঝে সুঝে উঠে চিতা-দৌড় পায়ে তুলি যেই
অমনি ছ্যাঁড়াত করে ছিড়েছে কি ,তা খেয়াল নেই ।
কুকুরটাও বেশ পাজী আঁটসাঁট ,পিছু লেগে আছে
অতপর দমে বাঁচি ,লাফিয়ে উঠে সুপারি গাছে
ভোলার ঠিকানা জানা নেই কাছে ।


বাড়ি ধরে হুশ পাই প্যান্টের হয়েছে সাতদশা
তলাটা ছিড়েছে ছ্যাঁ - ছ্যাঁ ,বাদবাকি শরমের কষা ।
হাতে হলুদ টর্চলাইট
ঝাঁটা ,জিন্স প্যান্টটাও ছিল বড্ড টাইট ফাইট ।।