আম্মা ঈদ করতে বাড়ি যাব
মা,বাবার সাথে দেখা হয় না সেই কবে থেকে।
ছোট ছোট ভাই বোন পথ চেয়ে আছে,
ওরা মুঠোফোনে কথা বলে,করে আবদার
ঈদের নতুন জামা,জুতা,মেহেদী,স্নো,চুড়ি,ফিতা
আতর তুপি নিয়ে আসো তাড়াতাড়ি ।
আম্মা ছুটি দেন, মাত্র তো কটা দিন
তারপরই তো আবার ফিরে আসবো এই ঘরে
মায়া মমতা সব তুচ্ছ করে ।
আমরা গরীব পেটের আগুন নিভাতে
আসতেই হবে । না এসে উপায় আছে ?
আম্মা ছুটি দেন না ।
চোখ করে ছোট,গম্ভীর মূখে ক্ষীণ কন্ঠে
বলে আম্মা
তুই যদি চলে যাস গোলাপী
এই ঘর সংসারের কি হবে ?
তুই তো আমার চালিকা শক্তি
ঈদে কত মেহমান কত ঝামেলা
একা একা সামাল দিব কি করে বল ?
না না ছুটি নাই হবে না ছুটি ।
বিকাসে পাঠিয়ে বেতন,বোনাস
ঈদের কেনা কাটা কিনে নেবে ওরা
আরে পুষিয়ে দেবো চিন্তা করিস না।
রুগ্ন কন্ঠে বলে গোলাপী
মা,বাবা,ভাই-বোনের আদর যত্ন,ভালোবাসা
পোষানো যায় কি আম্মা ?
তা ছাড়া গত ঈদে ওতো দেন নাই ছুটি
বাড়ির লাগি প্রতিনিয়ত কাঁদে দেহ মন প্রাণ
আম্মা ছুটি দেন না ।
এবার কপালে ফেলে ভাজ,চোখ করে বড়
রুক্ষ কন্ঠে বলে আম্মা—
বললাম না ছুটি নাই হবে না ছুটি
যা কাজ কর,কত কাজ পড়ে আছ্র ঘরে।
দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে কাজ করতে চলে,
ঈদের ছুটি জোটে না কপালে ।