পেছনে নুপুরের শব্দ ক্রমশঃ নিকটে আসতেই
বলে, কেমন আছো ? কণ্ঠ শুনে শুরু হয়
হৃদয়ে ভুমিকম্পন  রিখটার স্কেলে উঠে ৬.৮ মাত্রা ।
ভাঙন শুরু হয় শরীরের ভেতর ।
চমকে তাকাই , দেখি হ্যা সত্যিই সুরভি !
এতো বছর পর আগমন এবং প্রশ্ন
তুমি জানো না কেমন আছি থাকতে পারি কেমন ?
যাকে অর্হনিশ করি কামনা , একটু স্পর্শের জন্য
হয়েছি চাতক ।
যার পথ চেয়ে শেকড় গজেছে পায়ে হছে আদি বৃক্ষ
যে কিনা একদা প্রেমের অন্ত টেনে
তল্পি তল্পা সহ এক নিশীতেই উধাও
অতঃপর এতটা বছ্র পর আগমন এবং প্রশ্ন
প্রতি উত্তরে কিছই হয় না বলা
রাগ মান অভিমান ঘৃনা শব্দ হয়ে উঠে না
গভীর সমুদ্রের অতলে হারায় কথা
আমার উচ্ছাস স্পর্শ করে আকাশ ।
অন্তর তল হতে বাজে মূখের বাশি
আশাবাদির ন্যায় আশার আকাশে উড়ায় ঘুড়ি ।
বাধে নীড় সূখ স্বর্গ ,বীজ , ফুল ফল
হাসি খুশি ভরা জীবন ।
হঠাত ছোট্ট শিশুর মা ডাক শুনে
জড়িয়ে ধরে চুমু খায় সুরভি ।
উড়ন্ত ঘুড়ির কে যেন কাটে সুতা
দৌড় আরো দৌড় – ধরতে হবে তাকে
নামে না তো নীচে
দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত দেহ মন আর চলে না
আকাশ পানে চেয়ে থাকে স্থির
নাগালের বাহিরে দুরন্ত বাতাসে
উড়ে যায় ঘুড়ি দৃষ্টির আড়ালে ।