ডাকাতিয়া সরিৎ:-


আয় আয় তোরা কে কে যাবি চলরে এবার চল
যেথায় আছে রাতের শেষে দূর্সাহসির বল
গগন জমে জলদ ধারায় মেঘে
সেই তটে তর,সারা বেলা,করছে খেলা
আছে মোদের ডাকাতিয়া নদীর নিরান্ত মায়া
যার তরে, জল কনা বালী মাখা সবার কায়া,,


আয় আয় তোরা কে কে যাবি চলরে এবার চল-,
নবীন প্রভীন কিশোড়ি কিশোড়, যুবক বিদ্ধার দল,,
একে বেকে গেছে বয়ে,এ যেন মহান স্রষ্টার দান
তারি টানে, তারি প্রেমে সুর খুঁজে মাঝি পান
সবুজ মাঠে কৃষাণ বধূর কি যে দেখ টান
রাখাল সুরে বাশীঁর টানে ছুটে যায় প্রান,
ইট ভাটায় পিতৃ মায়ায়
যায় রে বাছা অন্নমাথায়,,


দিনের শেষে রাখাল এসে যায় রে গৃহে যায়
এমন সুন্দর ভালবাসা পাবি রে কোথায়?


আয় আয় তোরা কে কে যাবি চলরে এবার চল
শ্যামল গাছে মধূরসে আছে অনেক ফল
তীব্র স্রোতে জোয়ার রথে হারায় পানসি র দল
হীরা সোনা মানিক মুক্তা আছে তার তল
বাউল -কবি সোনার ছবি, আছে নায়ের অনেক মাঝি
গুনি গেয়ানী সবি আছে, এবার তোরা কে কে রাজি


আয় আয় তোরা কে কে যাবি চলরে এবার চল
সোনার নলে সেই তটিনীর রাশি রাশি জল


পাখী র গানে ভাঙযে ঘুম
সেই সুর কি যে মধুর,


রাজধানী থেকে নয় সেতো দূর
সেই নদীটি বইছে কেবল মোদেরি চাঁদপুর


অনেক রঙ অনেকক বেং গো,আছে অনেক রসিক
হাজার জনমের বীর আছে-সালাম-জাব্বার রফিক
সুন্দরদিয়া আর শাহাতলী
তারি তটের হাট গুলি


আয় আয় তোরা কে কে যাবি চলরে এবার চল
কামার কুমার দ্বীন -ধনী মাসি পিষি,দিদি মনির দল,


শৈত্য মৌসমে অথিত পাখী
যা দেখে জুড়ায় আখী,


খেজুর রসের পায়েস খীড়ে,নানা জাতের পিঠা রস
সেই তটিনীর কূলে র মাটি কি যে আহা জৌলুস


জেলের জালে খেলা করে হরেক রকম মাছ
শাপলা শালুক কৃষক যেন করে গেছে চাষ
তাইত পাখী শ্যামা-দোয়েল দেয় যে কেবল নাছ
হাওয়ায় উড়ে দূতী পরনে -ঠাকুর বাবু দাস,


শরৎ কালে কাশ ফুলে
ডাকাতিয়ার সব কূলে


সাদা মেঘের পাহাড় জমা ডাকাতিয়ার আকাশ মাঝে
ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী উড়ে সারা দিন সন্ধ্যা সাজে
রং ধনূরী সাত রঙে, রঙিন করল মিষ্টি করে
প্রেমিক এসে বসল হেসে ভালবাসার হাতটি ধরে


আয় আয় তোরা কে কে যাবি চলরে এবার চল
সোনার নদী দেখার আশে মাঝি মাল্লা র দল
অনেক কুটির শিল্পী আছে
এমন খুশিতে সবাই নাচে,,
মসজিদ মন্দির গির্জা মহল
আছে আরো কৃর্তী সকল
সাতার কাটে তার জলে
মায়ের দমান কন্যা -ছেলে
আয় আয় তোরা কে কে যাবি চলরে এবার চল।।


[রচনা কাল ০৮/৮/২০০৬ ইং]