জীবন- প্রাণী


গভীর রাতে কুকুরের কান্না!
শহরের বড় বড় সাহেব- ম্যাম- দের ঘুম ভেঙে যায়,
"কুকুর" অবাঞ্ছিত প্রাণী!  নামি- দামী মানুষের কাছে!
আসলে "কুকুর" এরা কি চায়? কেনই বা এমন  গ্যাও গ্যাও করে?
এটা কি তাদের কান্ন? নাকি তাদের আনন্দ হাসি মিছিল?
এটা কি কান্নার ডাক?
নাকি কোন মানুষের বেদম লাঠির আঘাতের ক্ষত জখম।।
এরা অসুস্থ হলে ডাকে,- ক্ষুধা লাগলে কাঁদে,
কোন দিন ক বেলা- কতটুকু খাবার দিয়েছি আমরা তাদের?
এত বড়াই করি মনুষ্যত্বের
রাস্তার ধারে ধারে,কত দিন রাত পার হয় বৃষ্টি -
ঝড়,কনকনে শীত, আমরা হৃদয়ের অধিকারীরা প্রাণের মূল্য কি করে দেই?
এদের পাঁচ -সাতের পরিবার থাকে- কেউ-নবজাতক কেউ বৃদ্ধ-
অসুস্থ,এর বেতর যারা সুস্থ আহারে র জোগান দেয়,
তারা অনেকেই কারো শিকার হয়ে যায়,
আহত হয়ে দলে পেরে চোখে কান্নার নীরব জল নিয়ে,
আবার কেউ পেরে আসেনা রোড দুর্ঘট নায় পিষে যায় রাস্তায়,
প্রাণের প্রণয়ন হয়ে যায় কত নির্মমে,এদের বেঁচে থাকতে দিন,
এক বেলা দু বেলা খাবার দিন,দিনা!?
মায়ের সম্মুখ থেকে তার শাবককে গলে দড়ি পড়িয়ে টেনে হেছড়ে নিয়ে যা সেই প্রভু,
''যে একমুঠো উপবিষ্ট খাবার খাইয়েছিল'',
এই ঋণে মা কুকুরী চোখ দিয়ে কান্না ডেলে দেয়,
আর মনিবের পায়ে  লেজ নাড়িয়ে, নত হয়ে কত বিনয়,- অনুনয়,
তবুও পাষণ্ড মনিব,


আমরা মানুষ, কিন্তু প্রাণ-প্রাণী?
পৃথিবীতে সব মানুষের যেমন একই অধিকার
তবে আরো যে প্রাণ! তাদের অধিকার কেন হয় নি আবিষ্কার?
প্রাকৃতিক বাবে যদি জীবন মৃত্যু হওয়াটাই তাদের অধিকার,

তাহলে তাদের বেঁচে থাকবার নিজস্ব ভুবনে আমরা কেন এত অত্যাচারী?


প্রাণে প্রাণে কোন পার্থ ক থাকা মোটেই শান্তি হয় না,
হয় না প্রাণে ভালো বাসা,
কত প্রাণ কত অনাহার প্রাণ হারায়,
আর আমি কত প্রাণের গানে গানে,
এত দামি ভোজ,কত বিলাসী বিছানা-ঘুম-
আরাম তবুও আমার রোগ শোঁখ-ডাক্তার,
আর কত প্রাণ বরফ জমা শীত,
তুষারের ঝড় বয়ে যায় তার উপর দিয়ে,
শুধু মানুষকে মানুষই ভালোবাসা  দেবেন?
মানুষ প্রাণকেও ভালো বাসুক,