"রক্তাক্ত সূর্য- শরৎরানী"


- এম জসিম গাজী


এ যেন আমার অন্ত অবিকল দগ্ধ জ্বালামোই
এক পটা রং অংকন কেবল সামান্য…
ছারখার বিবেক, তচনচ মানমন্দির ভেঙে ছুড়ে একাকার,
তবুও সবুজের পৃথিবী রচিত হবে, হবে কাশ ফুলের ধবধবে সাদা জান্নাত,- বাগান,
কলকলিয়ে রক্তের  ঝর্নায় যে শ্যামলী টকটকেলাল!
শরৎ এর ভোরের কুয়াশায় ধীরে ধীরে জন্মাবে শিশির ভেজা গালিচা,
গালিচায়ে বাহারি জাতের ঘাসের পাল,


অনাদি কাল হত যে বর্ষায় ভাসিয়ে গেছে তীরে তীর,
কত কলি,কত পাতা, কত ছবি, কত নদী....
স্যাঁতসেঁতে তরুলতায়...
আগুনের উতপ্ত শিখায় যে প্রকৃতি ছাই,,
সেখানে শিউলি পাপড়িতে ছেয়েছে, ছেয়েছে অম্বরের সাদা মেঘের দল,,
বিদায়ী সূর্য, শান্ত করে করে যায়,হাসি দিয়ে দিয়ে যায়,


দিগন্তের সীমানায় মুখ ঢেকে যায়,তবুও ছড়িয়ে যায় রুপোলী চাদর- আল্ত আদর....
আজ সব গুছিয়ে গেছে বেমানান ধরণী,
সব সব্য বাতাসে গুন গুন গানে মুখরিত পক্ষী ডালে ডালে,
বেসামাল রৌদ্রময় হারিয়েছে যে প্রাণ- পাখি - বাতাস-বনন্জল-দৃষ্টি,
আজ নীরব মহমায়ায়,


ঔ পশ্চিমা গগনে রক্তিমা রবিরাশী,
এই খানে কাশ ফুলে


রেশম পরশে শিহরিত করে,
সাদালালের মধ্যেস্থলে -
যে মুগ্ধতা-লাবণ্যতা-শিতলতা সৃষ্ট হয় তা সর্গ হার মানায়
রক্তাক্ত সবে গত হয়া অতিথ -
শরৎ এর মায়বীনি আভায় আজ কত রঙে রঙিত হল
ঝেড়ে নেয় অনাবর্ষার কাল "হাঁসেদের" দল,
স্লান করে করে নেয় প্রখর সূর্য তাপে পেতে পরিত্রাণ,,