কেউ কারো জন্য অপেক্ষায় থাকেনা, বয়ে যায় যে যার মতোন
আমার দিন ছিলো এলোমেলো, রাত ছিলো নিকষ কালো অন্ধকার
তৃষিত বুক ছিলো হাহাকার- বর্ষার নদীর মতো বিক্ষুব্ধ।
সেই বিক্ষুব্ধতা নিজের প্রতি- পাশের স্বজনের প্রতি
হাহাকারে আবৃত ছিলো এলোমেলো জীবন
আমি সেই-- আবেরিত ধ্যান ভাঙতে পেরেছি।
নিমগ্নতা ভেঙে ছুটে গিয়েছি-শোনিতের নিভৃত শিকড়ে
আমি নিভিয়েছি এক পশলায় কোমল আগুন।
শুশ্রুষার সব দায় কাঁধে তুলে নিয়ে
নিজেকে মেলে ধরেছি বৈশাখের প্রথম বৃষ্টিতে,
বর্ধিষ্ণু সঞ্চয়ের সবটুকু মেঘ দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি যতো অনিশ্চয়তা
আরক্তিম অধরে এঁকেছি চন্দন তিলক
নিঃশ্বাসের ঘ্রাণে ছুটে গিয়েছি হৃদয়ের খুব কাছে।
চৌচির প্রাণের জন্য আশাবাদী হয়েছি আবার--
অচেনা ইচ্ছার মতো বুকের বাগানে ফুটিয়েছি  অনেক অজানা ফুল
যা এখন আমি চিহ্নিত করতে পারি।
তবুও কেনো জানি দেখি তোমার কোল জোড়ে শুধুই অন্ধকার
আর তোমার চারপাশ ঘিরে ---
মাকড়সার জালের চাতুরতা।
দেখছি শুধু - - - স্পর্শ করতে পারছিনা
জীবনের ব্যথিত ফা্ল্গুন।