মা শেষবার মাথা রেখেছিলাম তোমার বুকে
জানিনা এখন তোমার কত যাতনায় সন্ধ্যা নামে
কত যাতনায় ব্যাথার প্রবাল দ্বীপে  অস্ফুট কান্নার ঢেউ ওঠে
মৌসুমি পাখির ঝাঁক এখনও কি আগের মতোই নীড়ে ফিরে?
চারদিকে পোড়া বারুদের ঘ্রাণ কি এখনও রয়েছে,
আর আধপোড়া আলুর মতন মৃত মানুষের দেহ!
মা আপুর গোঙানোর শব্দ কি মন্দিরের পিছনটায় এখনও শুনা যায়,
ভাইয়া কি শস্যখেতের আইলে রক্তাক্ত দেহে  চিৎ হয়ে তোমায় এখনও ডাকে?
আর বাবা! নাফের রঙিন জলে উপুর হয়ে ভাসছিল কেন?
আমাদের বাঁচাতে না পারার লজ্জায় নাফের জলে মুখ লুকাল তাইনা?
এত বিভৎসতার মাঝেই কি নিয়মিত ,ঘণ্টা ধ্বনি শেষে
এখনও কি চলে বুদ্ধের আরাধনা?
গুরুভান্তে কি আগের মতোই ধ্যান মগ্নতায় বলে উঠেন,
বুদ্ধং শরণং গচ্ছামি
ধম্মং শরণং গচ্ছামি
সঙ্ঘং শরণং গচ্ছামি
মা শুনেছি মন্দিরে নাকি ধূপের গন্ধে আর আরাধনা জমেনা
এখন নাকি পোড়া বারুদ ঝলসানো শরীরের মাংস ধর্ষিতা বোনের বীর্যের ক্লেদ মিশেল
নতুন গন্ধে বুদ্ধের নামে আরাধনা জমে ওঠে।
মা আজ আমি দুরপরবাসে ---
যা ছিল আমার কাছে আজ সবই স্বপ্নময়
অতিতে যা ছিল একদিন আমার কাছে ঊষর জমিনে।
হত্যা ধ্বংস আর বিচারহীনতায়---
আমার স্বাধীনতার স্বপ্নের শেকড়গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে,
তবুও পিশাচের রক্তের এই উৎসবেও
আমার খুব ইচ্ছা করে
তোমার বুকে নিভৃতে মাথা রাখি চিরকাল।