বেলা যায় নিজের নিয়মে
চোখের ভেতর জমতে থাকে গাঢ় অন্ধকার
গুমড়ে উঠে বুকের মধ্যে আস্ত এক শীতরাত
বুঝতে চায়না কেউ ছেঁড়া কাঁথার নীচে ওম--
কতো ক্ষত কতো বিদ্রুপ রেখে যায়।


নিয়ম করে উনুনে উপোস লিখে রাত বয়ে যায়
সময় যায় খিদের পেটে উষ্ণতা বাড়ে,
নাড়ি ধরে টান দেয়-- এক নুলো ভাত
অথচ রাতের পর রাত জেগে কত ইতিহাস রচি
একটি জ্বলন্ত উনুন একটি ক্ষুধার্ত নাড়ির।


উপোসী রাত সঙ্গি করে কষ্টের  সুর তুলে
ঝাউগাছের বিরামহীন কান্নারা,
হিম শীতল রাতের বুক ছিঁড়ে অশ্রু ঝরায়---
তাল খেজুরের ছিলা বুক থেকে।
শীতের জলে ডুবে অপেক্ষায় কুয়াশাকাতর রাত,
হিজল তমালের বুকে ফোঁটায় ফোঁটায় জমে বরফের খাটিয়া।


ভোরের সূয্যিটা দীর্ঘকাল অপেক্ষায় কষ্টগুলো শুষে নেবার,
অথচ তুমি নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে কর চঞ্চুতে তুলে লিখে রাখ
কষ্টের নীল নির্জিব  নিঃশব্দের কবিতা।
হয়তো তাই- ইতিহাস প্রতিক্ষায় থাকে,
আরেকটি শীতরাতের আরেকটি ছেঁড়া কাঁথার ওম নেবার।