ইদানিং কেনো জানি
আমার কবিতার বেখেয়ালি শব্দগুলো
পোকা হয়ে ডুকে যাচ্ছে চালের আরতে
সে আর কবিতা হয়ে উঠেনা।
মাঠের পর মাঠ জুড়ে থৈ-থৈ জলের আর্শিতে
জীর্ণক্লিষ্ট নিজের অবয়ব দেখি শুধুই
দেখিনা পোয়াতি ধানের সোনালী  শিষ।
হাহাকারে পেটের ভেতর বিক্ষোভ নড়ে ওঠে
বুক থেকে পেটের নাড়ি ধরে টান দেয় উপোসী উনুন।
ভুলেই গেছি সেই উনুনে উতলানো ফেনের কথা।
এখন ঝাপসা স্মৃতি হয়ে ধুয়ার কুণ্ডুলী উড়ে সারা ঘরময়
তবুও কেনো জানি চালের গুদামে এতো কিরার আনাগোনা।
রাতবিরেত চলে টিভিতে বাহারি টাই স্যুট পরা বাবুদের টকশো
আতপ নাকি সেদ্ধ!
ধুর ছাই পেটের ক্ষুধা নিয়ে এতো কথা ফোটে কি করে,
ভাত-দে সালারা এতো কথা ভাল্লগেনা।
রাত বাড়ে আশ্বিনের চাঁদ মেঘের ফাঁকগলে
মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে আসে অভাবি থালা হাতে,
ঘুম কেড়ে নেয় সমস্ত রাত্রির।
জেগে জেগে ভাবি মধ্যরাতের টকশোর বাবুদের কথা
আর উনুনে উতলানো ফেনিল মোটা ভাতের কথা
আজ ব্ড্ড বেশী মনে পড়ছে।