এখনে এখন--
ভালবাসার নামে অন্ধকারের জরায়ু ছিঁড়ে দীর্ঘ রাত নামে
ধুলোর পরতে স্মৃতিচিহ্ন আঁকড়ে মগ্ন থাকে সারাক্ষণ,
কান্নার মাঝে হারিয়ে ফেলে হাসিকে
জ্যান্ত হয় অপাংক্তেয়  কিছু কথা-পবিত্র মৃত্যুর পর।


এই নপুংসক সময়ে
কবির একটি কবিতার জন্য
অপেক্ষায় থাকে,মহাকাল।
অঝরে বৃষ্টি নামে--
দৃষ্টিহীন হয়-কুয়াশাকাতর ভোর,
চৈত্রের দহনে পোড়ে,সবে।


সময়ের ভাঁজে ভাঁজে ক্রমশঃ বুকের নিঃশ্বাস গাঢ় হতে থাকে
জাগে বিপ্লব আসে ভোর কুয়াশা ভেদ করে খানিক আলোকচ্ছটা,
সবাই যেনো ক্ষণিকের দিশা পায়,ফের-
রক্ত মাংসে অস্থিমজ্জায় চেতনার ক্ষুধা গ্রাস করে।
কেউ বলে ভালোবাসার ক্ষুধা,আমি বলি কামুকতা,মোহ
কেউ কেউ কামুকতার দ্বার খুলে স্বাগত জানায়।


প্রাচীন আধুনিক সভ্যতার  নগরায়ন বুকে নিয়ে সরীসৃপ পৃথিবী চলে,
চামড়ার ভাঁজে হাজার যুগের ক্ষতচিহ্ন বয়ে
উপরে উঠার সিঁড়ি ভাঙার প্রতিযোগিতায় মাতে কেউ কেউ,
অথচ এখানে এখন আমি আর কবি
শুধুই ভালোবাসার পদচিহ্ন আঁকি।


সবাই চলছে আপন মনে,আপন পথে
কে কোথায় যাচ্ছে? কেন? কিসের জন্য? ভাববার সময় নেই,
অথচ আমি আর কবি আছি একতালে, সমভাবে।


আমাদের---
একই ক্ষুধা
একই আশা
একই তৃষ্ণা
একই স্বপ্ন
শুধুই একটি কবিতার জন্য
এ-যেনো দীর্ঘ পথ চলা ক্রমাগত।