নির্ঘুম রাত্রির কোণে ভাবছি একা
শুধুই একা
ঘুমকাতুরে চোখ অসহায়
খুবলে খাওয়া ছিন্নভিন্ন মানচিত্র
শান্ত্রীবিহীন - -
ভেজা বালিশে উসখুস রাত্রি
মায়াকান্নায় রাষ্ট্রীয় গলা বাড়ানো কিছু জিরাপ
মাঝে মাঝে দেখে,মুচকি হাসে আর ভাবে
বারোটা বাজতে আর কতদুর?


চলছে হরিণ সমাজের যত্রতত্র মিটিং
সব ঋতুতেই চমৎকার আয়োজন।
বর্ষার পর শীত, শীতের পর বর্ষা কিন্তু বসন্ত - -
সে না হয় থাক,
কোকিলতো আঙিনায় আর কখনও  ডাকেনা
শুনলাম এক- বারোর,মাঝামাঝি নাকি বড়সড় হরতাল হবে!
আমার অবশ্য এসব নিয়ে ভাবনা নেই
আমি ভাবি চায়ের স্টলের আড্ডারত আবালদের কথা
ইদানিং নাকি তাদের গড়পড়তা জীবনে
নোনতা অশ্রুতে কপাল ভিজে!
কেন? কি কারণে? তা জানিনা।


আজকাল ভাবনার ক্ষেতে বড়ো বেশী উচ্ছিষ্ট ঘাস মাথাছাড়া দিয়েছে
দিগন্তের শেষে যে রোদটুকু বাকি ছিল তাও- -
অপরাহ্নের আগেই কে বা কারা যেনো গোগ্রাসে গিলে নিয়েছে।
আর আমরা চায়ের স্টল থেকে আবালদের গড়পড়তা জীবন ধরে
এক পা দু'পা করে,হাঁটতে হাঁটতে সময়ের মোড়ে দাঁড়াতেই
খুব করে রাত্রির অন্ধকারের ডাক শুনতে পাই।
সেই অন্ধকারের আলপথ ধরে আমাদের বিষন্ন নগ্ন পা- -
আবালদের দলে মিশে যেতে থাকে ক্রমশঃ - -।