আমি এখন আর কবিতা লিখিনা
বসে বসে বদলে যাওয়া আকাশ দেখি
আর দেখি কতোটি তারা খসে পড়ল অমানবিক বিরান প্রান্তরে।
অথচ দেখো এভাবে আমার আকাশ দেখার কথা ছিলোনা
কথা ছিলোনা বিরান প্রান্তর জুড়ে পিশাচের উল্লাস ধ্বনি শুনার
কথা ছিলনা নির্মল আকাশ জুড়ে অসংখ্য শকুনের আনাঘোনা।
কথা ছিলো মসৃণ মায়াময় সবুজাভ পৃথিবী দেখার
যেখানে নির্বিগ্নে বুকের পাঁজর ছেতিয়ে হাঁটবে সাহসী যুবক
যেখানে ষোড়শী স্তন নির্জলা বেড়ে উঠবে।
এতো গ্লানী এতো ক্ষয়, বুকের বুননে জমে,তপ্ত এক উনুন
এই হৃদয় জানে, জানে অভিলাষী মন কতোটা ক্ষরণ
কতোটা তপ্ততায় ঝলসে যায় আস্ত এক স্বপ্নীল রাত
অথচ কেউ জানেনা, শুধু আমি জানি
কতোটা ক্ষত বুকের নিবিড় স্রোত---
নীরবে করাঘাত করে যায়।
বেদনার জলে ঝাঁপ দিয়ে বলি, এই কি জীবন?
কেউ ভাবেওনা কখনো -----
মাধবীলতার মতো জড়িয়ে আছে জ্যোৎস্নাবিহীন এক নিশ্চুপ রাত।
কেউ জানেনা, শুধু আমি জানি
সুখের ঘরে কারা আগুন পুষেছে
যারা কোন দিন নির্জলা নির্মলতা চায়নি, চেয়েছে শুধু ভরাট আকাশ।
তাদেরই হাতে মসৃণ ত্বক, আঙুলের নখে সোনালিমা রঙ
সেই আঙুলের ইশারায় সবকিছু বদলে
আমার অঙনে ঝিমোয় কোন এক অধিকারহীন পরাধীন ভোর।
আজ তবুও কেনো যে শুধু শুধু
বুকের 'পরে আলতো জড়ায়ে রাখি
আমার কবিতার সাদা খাতা।