কোন এক সময় ভাবতাম
মরে যাবো বলে সংসারের খুঁটিনাটি দ্রুত দেখে নিতে হয়।
হয়তো সময়ের ফেরে--
দেখা হবেনা অনেক কিছুই, তা ভেবেই এতো আয়োজন।
বোকার মতো কতো--
পাহাড়ের শৃঙ্গ হতে সমুদ্রের তলদেশ যেতে চেয়েছি
কেন চেয়েছি জানিনা---।
মানুষতো সব সময় বড় কিছুই চায়, যেমন
বড় পাহাড়,বিশাল সমুদ্র এমনকি খাঁ খাঁ বিরাণ ভূমি,
হয়তো আমিও তাই চেয়েছি।
ছোটতো বড়কে আষ্ট্রে-পিষ্ট্রে কখনও ধারণ করতে পারেনা,
সময় ফুরিয়ে যাবে বলে
স্বজন সন্তানদের জড়িয়ে রাখা চারিপাশে।
প্রেমিকার শরীরে স্ত্রীর তকমা দিয়ে
ঘনিষ্ঠতার জন্য বড্ড বেশী তড়িঘড়ি করা
আর শব্দের পর শব্দ বসিয়ে যুঁতসই কবিতা না হলে
মন খারাপ করে রাখা--
এসব তাড়াহুড়োই হয়তো।
মানুষের জীবনকে বদলে দিতে দিতে--
তার সমস্ত আয়ু শেষ হয়ে যায়।


যখন মরে গিয়ে কবরে শুইয়ে গেলাম,তখন
দুনিয়ার সব সবকিছু অর্থহীন মনে হয়।
কারণ ওখান থেকে---
সব দেখতে পাই আগে যা কখনও দেখা হয়নি,সেগুলোও।
কবরে প্রথম প্রথম নিজেকে নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম
দুনিয়ার সব কৃতকর্মের ছাওয়াল জবাব শেষে--
এখন অবশ্য অনেকটা ভালো।
শরীরের হাঁড়গুলো থেকে সমস্ত মাংস খসানো হলো
একই সঙ্গেঁ মুখ চোখ গুপ্তাঙ্গ থেকেও।
এসব করার কারণ নিজেকে নির্লোভ করা
দুনিয়াতে  জীবিতরা কখনও ---
ভিন্ন ভিন্ন  মাংসের পিণ্ডের লোভ সামলাতে পারেনা
কিন্ত এখন আমি পারি।
কবরে শুয়ে প্রথমবার ভাবছি
কেনো এতোদিন বাঁচলাম,নিশ্চয় বোকামির জন্য
দ্বিতীয়বার ভাবছি সব কুটিনাটি  শেষ করার জন্য
আর তৃতীয়বার ভাবছি
জীবিতরা যদি জানত এখানে কি অশেষ সময়
আসলে জীবিতরা কখনোই মৃত্যুকে নিয়ে এতোকিছু ভাবেনা
মৃত্যূর চেয়ে বড় সত্য, কি ছিলো?