জীবনটা এমনই—
না চাইলেও... বারবার ছিনিয়ে নেয়—
যেটুকু আলো,
যেটুকু উষ্ণতা বুকে রেখেছিলাম গোপনে।
ধুলোর গভীরে—
যে হাসি ফোটে হঠাৎ করে,
সে-ও একদিন
ভেসে যায় বিস্মরণের নদীতে।
আমি...
আমি কতবারই না জেগে উঠেছি—
যেন কুয়াশার বুক চিরে উঠে আসা ধূসর এক চর!
নামহীন, নীরব,
নির্জনতায় ডুবে থাকা এক স্বপ্নবিসর্জন।
নদীর ঢেউগুলো...
কেবলই টেনে নেয় গভীরের দিকে—
যেখানে নাম, শব্দ,
সবই হারিয়ে যায় অতলের আহ্বানে।
তবু...
তবু এক তীব্র বাসনা জেগে থাকে—
তোমার কণ্ঠে শুনি একটুখানি জীবন,
একটুখানি ভালোবাসা,
যেখানে ক্লান্তি নেই,
নেই কোন রক্তাক্ত প্রশ্ন।
শুধু...
শুধু প্রশান্তির মতো বয়ে চলে—
নরম এক স্পর্শের ধ্বনি।
সেদিন—
হয়তো নদীও থেমে যাবে তার চিরচেনা প্রবাহে,
চর গুলে গজাবে এক স্বপ্নের বন,
প্রতিটি পাতায় লেখা থাকবে... আমারই নাম!
আর আমি...
আমি রয়ে যাব—
তোমার নিঃশব্দতার পেছনে দাঁড়িয়ে—
ভাঙা ঢেউয়ের নিচে লুকানো...
এক শাশ্বত ছায়া হয়ে।