বড়ো বেশি গেরস্থালী এসে গেছে মননে আমার
এতোটা সংসারী হওয়া কি উচিৎ ছিলো!
এতোটা মেঘহীন বোশেখের তমুল ঝড়ে
খুলে রেখে উদোম শরীর, নির্বিগ্নে মুখোমুখি দাঁড়ানো
এতোটা কি উচিৎ ছিলো---!
প্রথম স্পর্শে যেমন বন্ধন আনমনে কেঁপে উঠেছিল অজানা শিহরণে
দ্বিতীয়তে তেমনি চিরবিদায়ে দ্বিধাহীন নোনতা সুনামী।
তবুও কেনো তোমার কাছে আশ্রয়ের শেষ কানাকড়িতে,
আমার শেষ পরাজয় তুলে দিয়েছিলাম
এতোটা কি হওয়ার কথা ছিলো?
জানিনা কিসে এতো মায়া,কেনো এতো মোহ
জানিনা কেনো যে পুঁড়ি নিবিড় প্রহরে।
মোহন ক্ষত বুকে নিয়ে পুঁড়ছি নির্দিধায় আপন বিশ্বাসে
নির্জনে তমুল ঢেউয়ে বেঁধেছি কতো একাকী স্বপ্নের নাও।
আমিতো মাঝি নই, জানিনা কোথায় নদীর বাঁক
কোথায় তার কূল, কতটুকু তার গভীরতা--
কোথায় কিনার জানা নেই আমার।
কতোখানি সাবধানে, কোন বাঁকে ভাসাবো নাওখানা
জানিনা আমি।
তবুও অবেলায় ভাসাই বিশ্বাসের নাও
আমি যে নবীন মাঝি
দুর পরবাসে প্রিয় স্বজনের খবর নিতে বারবার ভাসাই নিজেকে
বিনিদ্র চোখে শোকচিহ্ন রেখে।