তোমাকে দেখিনা তুমি থাকোনা কাছে
সবাই জানে আমিও,আছ খুব কাছাকাছি
আমার নিঃশ্বাসে তোমার উঠানামা অবিরাম।
যতোবার ভাবি, নিঃশ্বাসে তুমি উঠানামা কর
ততোবার ছুটে যাই নিভৃতে নিরালায়,আর--
আমার চারদিকে ছড়িয়ে যায় মথিত আত্মার গান।
মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিন সুমধুর সুরে আজান হাঁকে
নামাজের জন্য এসো
ছুটে যাই একান্তে, নামাজ মানে  দিদার
তোমার দেখা পাইনা।
রাত জেগে জেগে তাহাজ্জত পড়ি
তোমাকে দেখতে চাই,পারিনা
না দেখার বিরহে নিঃশ্বাস ভারী হয়,
নোনা জল গড়ায় নিভৃতে।
নিরাকার তুমি-চর্মচক্ষে দাওনা ধরা
মমিন বান্দার দিলে তোমার বসবাস
প্রভু্-দুনিয়ায় আমিতো দৃশ্যমান,
তাইতো স্পর্শ চাই একান্তে
স্পর্শে আমার যতো সুখ।
  
অধরা নারীতে কী'বা আসে যায়
তুমি মানে আমার নিঃস্বাস,
তোমার সৃষ্টির ঘোর।
আমাকে ভোলাতে দিয়েছো পুতুলের সামগ্রী
বেচে বেচে প্রথমে নিয়েছি একটি মা পুতুল
তার মমতায়, বুকে মুখ গুজে কাঁদি হাসি
নিভৃতে ঠোঁট ভিজাই দুধে,আর--
তোমাকে না দেখার দুঃখ ভুলি অবিরত।


সময়ের ফেরে দেখা হয় আরও একটি পুতুলের
তখন মা পুতুলের  বিরহ আমায় কাঁদায় ভীষণ,
আমি নতুন পুতুলের শরীরে তাকে তন্ন তন্ন করে খুঁজি
মা পুতুল আমাকে যেখান থেকে এনেছিল
আবার সেখানেই ফিরে যাই----।
আরেকটি নতুন পুতুল যখন ওঁয়াও ওঁয়াও করে কেঁদে উঠে,
তখনই ভাবি এটা তোমার, পুতুল খেলা ছাড়া কি
এতোসব পুতুলের ভিড়ে কোথায় থাকো হে-প্রভু!
আজও কি তুমি ব্যস্ত, নতুন কোন পুতুল বানাতে?
তুমি নিত্য নতুন পুতুল বানাও, আর--
আমিও ধিরে ধিরে হয়ে যাই পুতুল পূজক।