বর্ষণমুখর দিনের শেষে ঘোর অন্ধকার
মৌসুমি পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে ঘরে ফেরা
অতঃপর নিস্তব্ধ চারিপাশ-----।
অথচ ভুলে গেছি সেই সব মাধবীদের কথা
ফর ফর করে টেনে ছিঁড়ে ফেলা কাপড়।
বেরিয়ে আসে স্বযত্নে রাখা ষোড়শী স্তন
লজ্জা ঢাকার প্রাণপণ  ব্যর্থ চেষ্টা,
আধখাওয়া জলন্ত সিগরেটের প্রথম স্পর্শ বাদামী স্তন বৃন্তে
শশ্মানে পোড়া মৃত মানুষের মতো উৎকট গন্ধবেরুয়,
মা-গো - - অস্ফুট চিৎকার।
যুদ্ধোরত সৈনিকের খুটিয়ে খুটিয়ে মানচিত্র দেখার মতো
মাধবীর স্বযত্নে লালিত এমন টসটসে শরীর নিয়ে
সে ক-ত্তো --রখমের --কতো কি।
লজ্জা ভয়ে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে যায় মাধবী,
যে আঙুলের নরম স্পর্শ ছুঁয়েছে তার দেহ প্রিয় মানুষটি
যে আঙুলের স্পর্শ পেয়েছে চিবুকের তিল
যে আঙুলের স্পর্শে নির্ভার ছিল বাবা আর ভাইয়ের হাত
যে আঙুলের স্পর্শে মায়ের ওম খুঁজে পেতো
সে সব হাতগুলো এখন মৃত।
অথচ পিশাচের হাতগুলো বস্ত্রহীন করে প্রতিনিয়ত,
বেওনেট খচিত রাইফেল গুলো ঠিক বুকের মধ্যখানে নড়াছড়া করে উঠে
কারণ তারা বলেছিল, ভালভাবে বাঁচার কথা, অনাহার ক্ষুধার কথা,
তাইতো তাদের শরীরে লেগে আছে ছোপ ছোপ রক্তের দলা।
ঈশ্বর আজ নাফের কবাট খুলে রেখেছে--
তার তৃষ্ণার্ত জলে অনিশ্চয়তার শীতল উল্লাসে মাতবে বলে,
জলপাই রঙের পোশাকের ভেতর লুকায়িত
হিংস্র অমানবিক পাষণ্ডরা।