প্রকৃতিও থামিয়ে দিয়েছিলো বাতাস
স্তব্ধতায় সারাদেশে সেদিন সবুজে ঘেরা লাল বৃত্তটি
মাথানত করে নীরব প্রতিবাদ জানিয়েছিলো।


তাই জেনেছি মিথ্যা সৌন্দর্য্যে তোমরা ভুলে গেছো অতীত
ভুলে গেছো নিজেকে নিজেই।
তবে কী পৃথিবীর সব সুখ ঐ পাহাড়ের চূড়ায় ?
নাকি পাহাড়ের ওপাশে ?
শহরে নিদ্রাহীন কোলাহল
স্বস্তির প্রত্যাশায় তারা জুটি বেঁধে ছুটে আসে সৌন্দর্য্যের খোঁজে
সিঁড়ি বেয়ে উঠে যায় চূড়ায়
তারপর-
কোথায় যেনো হারিয়ে যায় সব।
শুধু একাকিত্ব ছুটে ফিরে এখানে-সেখানে...


পাহাড়ের গায়ে ঝাউবন, মানুষের চিহ্ন নেই,
তবুও ঝোপের আড়ালে ষোঢ়শির নিঃশব্দ আকুতি।
তবে বন কী কথা বলে ! কথা বলে ঝাউবন !
নিচু গলায় কে করে আবদার নিশুথীর ব্যক্ততা...
কখন যে হয়েছে বিকেল সময়ের কাটা সচল
তখনো প্রধান দরজায় দীর্ঘ লাইন
স্বস্তির টিকেট কাটছে মানুষ !


বিদায় হে বন্ধু বিদায়
তোমাদের শুভ প্রত্যাশায়,
তবে হয়ত এ বিদায়ই শেষ নয়, আবার আসবো ফিরে
যেদিন পাথর খচিত সৈকতে নামবে সন্ধ্যা
অঘ্রান-পউশে নয় সারা বছর জমবে মেলা
যেদিন পাহাড় আর কাঁদবেনা – ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে দেহ
                                          সবুজের সমারোহে;
পাশের লেকে অজস্র মাছ, ছিপ ফেলে মাছ ধরা
সিঁড়ি বেয়ে চলা ঝর্ণারা সচল।


               হয়ত সেদিনও প্রধান দরজায় দীর্ঘ লাইন
               শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর ভীড়।