বিদায় হে বন্ধু বিদায়
তোমাদের শুভ প্রত্যাশায়...


তোমার ছায়ায় বেশ কেটেছে সময়
দীর্ঘ চার বছর; দিয়েছো অন্ন তুমি
দিয়েছো পৃথিবীকে দেখার বিশাল দুটি চোখ;
দেখেছি তাই সারারাত জেগে
পূর্ণিমা রাতে পাহাড়ের আড়াল থেকে
একটুকরো মেঘের ধেঁয়ে আসা,
জেনেছি কিসের শূন্যতায় পাহাড় ধ্বসে পড়ে
কিসের প্রতিবাদে আমরণ জেগে থাকে পেঁচা।


দেখেছি ধ্যাণের অন্বেষায় কোন যুবক সারারাত জেগে থাকে
                                   ভীরু দীর্ঘশ্বাস সাথে,
ক্লান্ত মুসাফির সারাদিন খুঁজে ফিরে
             পাহাড়ের চূড়ায় এক টুকরো ছায়া।
দেখেছি সিঁড়ি বেয়ে মানুষ উঠে আসে পাহাড়ের চূঁড়ায়
সৌন্দর্য্যের অন্বেষণে, ক্লান্ত পদক্ষেপ....
তবুও নিশ্বাসে প্রশান্তি যেনো...


দুপাশে দুটি সিঁড়ি-মাঝখানে স্মৃতির মিনার
সাইনবোর্ড লেখা ‘‌গণকবর’, ‘এখানে ৭১সালে হানাদার বাহিনী
অগনিত নিরীহ বাঙালীকে হত্যা করেছিল।’
বিজয়ের দিনে দেয়া কয়েকটি শুষ্ক ফুল আজো পড়ে আছে
                                          এখানে-সেখানে...
চারপাশে ঘেরা জীর্ণ দেয়াল, ঝোঁপ জঙ্গল
শুধু একটি ক্ষুধার্ত কুকুর ঘুমিয়ে আছে দরজায়;
কেউ কি কখনো থমকে দাঁড়িয়েছিলো শ্রদ্ধায় ?
সে সময় কোথায় ! দেয়াল টপকিয়ে একজন সৌন্দর্য্য পিপাসু যুবক
পেসাব করে ফিরে এলো ! ধরিত্রী কি এতটুকুও কাঁপেনি তখন,
কোন বিবেক কি নড়েনি, কিংবা লজ্জায় সূর্য কী তার চক্ষু বন্ধ করেনি ?
করেছিলো....!
পৃথিবীর সব পাখি একসাথে চিৎকার করে উঠেছিলো
ভূ-গর্ভস্থ অন্ধকার কাঁপিয়ে দিয়েছিলো পৃথিবীকে
মেঘ ঢেকে দিয়েছিলো সূর্যের আলো
                           কেঁদেছিলো সারারাত।


(দুই পর্বে শেষ) - চলবে